• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
সিন্ডিকেট ভেঙ্গে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে জেলা প্রশাসন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সিন্ডিকেট ভেঙ্গে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে জেলা প্রশাসন

  • নাটোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৯

নাটোরে এবার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে সরাসরি প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার জন্য মাঠ নেমেছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার সকালে নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়ন র্পযায়ে সরাসরি প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে বরাদ্দকৃত ১৬টন ধান ১৮ জন কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করেন নাটোর জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ ও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জেসমিন আকতার বানু। এসময় সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মেহেদুল ইসলাম এলাকার ১৮জন প্রকৃত কৃষক চিহ্নিত করেন এবং গোডাউনের খাদ্য কর্মকর্তারা ধান সংগ্রহ করেন।

এসময় নাটোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত গোডাউন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সহ অন্য‍ান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ধান ক্রয়ের দ্বিতীয় দিনে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ৫টন ধান ক্রয় করা হয়।

নাটোর সদর উপজেলা দস্তানাবাদ থেকে আসা কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাজারে ধান বিক্রি করতে গেলে দাম পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা মন। এতে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ইউএনও স্যার এর মাধ্যমে এক টন ধান গোডাউনে দিতে পেরেছি। এতে আমার কিছুটা হলেও লোকসান কমে আসবে।

নাটোর কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর নাটোর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৬১হাজার ৪৩৫হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। যা থেকে ৪লাখ ১৪হাজার ৬৮৬মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। তবে এত পরিমানে ধান উৎপাদন হলেও নাটোরের সাতটি উপজেলায় এবার মাত্র ২হাজার ১১৫মেট্রিক টন সংগ্রহ করবে খাদ্য বিভাগ। এরমধ্যে নাটোর সদরে মাত্র ৯৪মেট্রিক টন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মেহেদুল ইসলাম বলেন, কৃষি কার্ডের মাধ্যমে আমরা প্রকৃত কৃষক নির্বাচন করবো। তারা প্রকৃত কৃষকদের নির্বাচন করে দিলে তার কাছ থেকেই ধান ক্রয় করা হবে। কোন কৃষকের যদি ধানে আদ্রতা বেশি থাকে, সে পরে ধান শুকিয়ে সঠিক আদ্রতায় দিতে পারবে। প্রতিদিন একটি ইউনিয়ন করে আমরা ধান ক্রয় করবো। এতে করে কৃষক লাভবান হবে।

নাটোর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জেসমিন আকতার বানু বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্দেশ ক্রমে আমরা সরাসরি প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ শুরু করেছি। একজন কৃষক এক থেকে সর্বোচ্চ দেড়টন ধান দিতে পারবেন। এতে করে কৃষকরা লাভবান হবে এবং বাজারে ধান সংগ্রহের প্রভাব পড়লে অন্য কৃষকরাও ন্যায্য মূল্য পাবে। এখন থেকে গোডাউনে কোন ধান ক্রয় করবো না। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ধান ক্রয় করবো। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোন কৃষকের ধান রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করবে। এরপর ধানের আদ্রতা মেপে ক্রয় করার মতো হলে ওই কৃষকের ধান ইউনিয়ন ক্রয় সেন্টারেই দিতে পারবে।

নাটোর জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে আগে ধান ক্রয় করতে হবে। সে জন্যই ধান ক্রয় অভিযান শুরু করেছি। প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে যাতে ধান ক্রয় করতে
পারে সেজন্য জেলার প্রত্যেকটা উপজেলা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করছি ধান ক্রয় অভিযানের সাথে সাথে বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads