ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় কিছু ওষুধের সংকটের কারণে রোগীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। উপজেলার ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের প্রায় ১৫ দিন আগ থেকে এ পর্যন্ত বাজারে স্কয়ার কোম্পানির প্যারাসিটামল ট্যাবলেট এইস ৫০০ মিলিগ্রাম, প্যারাসিটামল ১০০ এম এল এইস সিরাপ, ভিটামিন বি-১ বি-৬ নিউরো ট্যাবলেট, গ্যাসের ১০০ এম এল নিউটেক সিরাপ এবং বেক্সিমকো কোম্পানির নাপা নরমাল ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট, নাপা এক্সট্রা ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট, ১০০ এম এল নাপা সিরাপ নেই। এসব ওষুধ না থাকায় অন্য কোম্পানির ওষুধ দ্বারা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হচ্ছি। তবে এখন সেসব কোম্পানির প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধের ও সংকট দেখা দিয়েছে।
এসব ওষুধ শিশু বাচ্চা থেকে সব ধরনের বয়সী রোগীদের বেলায় জরুরি। এখন ঋতু পরিবর্তনের ফলে শিশুদের সর্দি কাশি জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এই মুহূর্তে এসব ওষুধ সংকট মরার উপর খাড়ার ঘা এর মত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিয়মিত ওষুধ সেবনকারী উপজেলা ধামদী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম জানান, বেক্সিমকো কোম্পানির প্রেসারের ট্যাবলেট বাইজুরানের দাম ছিল ৯ টাকা। কিছুদিন আগে তা বাড়িয়ে করা হয় ১০ টাকা। এখন আরেক দফা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২ টাকা। গ্যাসের এসিফিক্স ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর দাম ছিলো ৫ টাকা এখন বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭ টাকা। ইনসেপ্টা কোম্পানির অমিডন ট্যাবলেট এর আগের দাম ছিলো ২.৫০ টাকা; এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩.৫০ টাকা। এরিস্টোফার্মার মারভ্যান ১০০ মিলিগ্রাম ব্যথার ট্যাবলেটের দাম ছিল ৪ টাকা তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ টাকা।
এ রকম মূল্যবৃদ্ধিতে গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর রোগীদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দিনমজুর রোগী রমজান আলী জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা.জাকিউল ইসলাম জানান এগুলো অত্যন্ত জরুরি ওষুধ। চাহিদা বেশি থাকায় অনেক সময় হাসপাতালে সরবরাহ কম থাকে। বাজারে সংকট অব্যাহত থাকলে এর প্রভাব হাসপাতালে উপর পড়বে। ফলে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
তিনি বলেন, বিষয়টি উপর মহল ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো অবগত আছে। আশা করা যায় দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।