• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
ভাঙন ঠেকাতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ভাঙন ঠেকাতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ জুন ২০১৯

গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটকে ভাঙন থেকে রক্ষায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এর আগে, একই কাজ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সম্প্রতি কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি ও নদীতে পানি বাড়ায় দৌলতদিয়ার ছয়টির মধ্যে তিনটি ঘাটের কিছু স্থান ধসে যায়। ধসে যাওয়া স্থান মেরামত ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে এ কর্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ঘাটের কাছে রাজবাড়ী পাউবো ২৮০ কেজি ওজনের বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে। তার আগে ৫ নম্বর ঘাটের কাছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। শ্রমিকেরা ট্রলারে আনা বালু জিও ব্যাগে ভরে প্রস্তুত করছেন।

শ্রমিক আলম শেখ, সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, আমরা ট্রলারে আনা বালু এখানে জিও ব্যাগে ভরে প্রস্তুত করছি। এ জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে দৈনিক ৫০০ টাকা করে মজুরি দেয়। তারা জানান, রাজবাড়ীর ধাওয়াপাড়া হতে উন্নতমানের মোটা বালু দিয়ে ২৮০ কেজির প্রতিটি জিও ব্যাগ ভরা হচ্ছে। ঘাটের ভাঙন প্রতিরোধে এটা খুব কাজে লাগবে।

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্ষার আগে ফেরি ঘাটের বিভিন্ন স্থানে বিআইডব্লিউটিএ’র বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু ছিল তা নিয়ে স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন দেখা দেয়। তাদের জিও ব্যাগ ফেলা শেষ না হতেই পানি উন্নয়ন বোর্ড পূণরায় প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে স্থানীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়ার ছয়টির মধ্যে ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট বর্ষায় ভাঙ্গন ঝুঁকিতে থাকে। সম্প্রতি ভারি বৃষ্টি ও পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটের কাছে কিছু স্থান দেবে যায়। সে সব স্থানে ভাঙ্গন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য বিআইডব্লিউটিএকে জানানো হয়। বর্ষার পানি বাড়তে থাকলে এবং ভাঙ্গন দেখা দিলে ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটটি অধিক ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, দৌলতদিয়ার ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটের মাঝামাঝি, ৩ ও ৪ নম্বর ঘাটের মাঝামাঝি ও ১ নম্বর ঘাটের ডাউনে বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিতে দেবে যায়। এছাড়া ঘাটের পন্টুনসহ অ্যাপ্রোচ সড়ক মেরামত করতে গত ২০ এপ্রিল থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়। যাতে আর দেবে না যায় এজন্য ১৩ জুন পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার বস্তা বালু ফেলা হয় বলে তিনি দাবী করেন। এখন আপাতত খুব সমস্যা নেই। পাউবো’র বস্তা ফেলার কারণ জানতে চাইলে বলেন, এটা তাদের ব্যাপার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads