• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পাল্টা-পাল্টি মানববন্ধন

শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পাল্টা-পাল্টি মানববন্ধন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল

শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পাল্টা-পাল্টি মানববন্ধন

  • প্রকাশিত ২৩ জুন ২০১৯

বরগুনা প্রতিনিধি :

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বরগুনা জেলা স্কুলের অষ্টম শেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক এবং জেলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন, কর্মবিরতী ও বিক্ষোভ কর্মসূচি।

আজ রবিবার বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্তরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে বরগুনা জেলা স্কুলের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, চিকিৎসকের অবহেলায় তাদের সহপাঠীর মৃত্যু হয়েছে এবং এ ঘটনায় চিকিৎসকের বিচার না হয়ে উপরন্তু রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা মানবিকতাবিরোধী। এ সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে শ্লোগান দিতে থাকে শতশত শিক্ষার্থী।

এর আগে গত ১৯ জুন বুধবার রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আব্দুল্লাহ (১৪) নামের এক রোগী ভর্তি হয়। সে বরগুনা জেলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বমির পাশাপাশি আব্দুল্লাহর প্রেশার আকষ্মিকভাবে কমে আসায় তার শারীিিরক অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান।

চিকিৎসকদের দাবি, অসুস্থ আব্দুল্লাহকে বরিশাল না নিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে অবস্থান করায় রাত ১২টার দিকে আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়। এর পরপরই রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমানের ্উপর হামলা চালায় আব্দুল্লাহর স্বজনরা। ওইদিন সকাল থেকে কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধন করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স ও অফিস সহকারীরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাসাপাতালে আসা শতশত রোগী ও তাদের স্বজনরা।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম শাকিল জানান, বমির সাথে লো প্রেশার (নিন্ম রক্তচাপ) নিয়ে ভর্তি হয় আব্দুল্লাহ। তাকে সম্ভব সকল প্রকার চিকিৎসা দেয়ার পরেও যখন তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না তখন তাকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান। রোগীর স্বজনরা তাকে বরিশাল না নিয়ে বরং চিকিৎসকের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহর মৃত্যু হলে ডা. মশিউর রহমানকে নির্মমভাবে মারধর করে রোগীর স্বজনরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রতিদিন এক ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় লাঞ্ছিত চিকিৎসক ডাঃ মশিউর রহমান নিজে বাদি হয়ে গত শুক্রবার মৃত আব্দুল্লাহর বড় ভাই সাইফুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে আন্দোলনরত জেলা স্কুলের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সাহাব জানায়, দুপুরের দিকে আমড়া খাওয়ার পরে পেট ব্যাথা হয় জেলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর। এরপর পেট ব্যাথা কমাতে সেভেন আপ খায় সে। এরপরপরই আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে আব্দুল্লাহ। বিকেলের দিকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর কোন চিকিৎসক তার চিকিৎসা না দেয়ায় এক রকম অবহেলার কারনেই তার মৃত্যু হয়। মৃত আব্দুল্লাহ বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের দ্বিন আলী হাওলাদারের ছোট ছেলে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads