• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
মৌলভীবাজারের ৪ উপজেলা সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

মৌলভীবাজারের ৪ উপজেলা সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুন ২০১৯

কুলাউড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে পল্লী বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গরুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজার জেলার ৪ উপজেলায় ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি গ্রাহক আজ রোববার বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শেষ পর্যন্ত ২৫ হাজার টাকায় বিষয়টি আপোষ মিমাংসা হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

স্থানীয় লোকজন ও পল্লীবিদ্যুত বিভাগ সুত্রে জানা যায়,  রোববার বেলা আনুমানিক ২টায় কুলাউড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের কাছে পল্লীবিদ্যুতের একটি খুঁটিতে বাঁধা গরু বিদ্যুৎ স্পর্শে মারা যায়। এতে কুলাউড়া গ্রীড স্টেশন থেকে কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

গরুটির মালিক স্থানীয় চাতলগাঁও গ্রামের আছকির মিয়ার স্বামী পরিত্যক্তা পারুল বেগম। গরু মারা যাওয়ার পর গরুর মালিকসহ স্থানীয় লোকজন ক্ষতিপূরণের দাবিতে পল্লীবিদ্যুতের লোকজনকে বিদ্যুৎ চালু করতে বাধা দেয়। এতে ৫ উপজেলার ১ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিলেন। প্রচণ্ড গরমে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।

বিষয়টি কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান শফি আহমদ সলমানকে অবহিত করলে তিনি ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি আপোষ নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেন। সন্ধ্যা ৬টায় বিষয়টি আপোষ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বসে বৈঠক।

কুলাউড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার ইকবাল আহমদ শামীম জানান, বৈঠকে গরুর মালিককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। পল্লীবিদ্যুত বিভাগ সেই টাকা পরিশোধে সম্মত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করে রাত ৯টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন।

পল্লীবিদ্যুতের শ্রীমঙ্গল  জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার শিবুলাল বসু জানান, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আমাদের খুঁটির কাঁছে যেতে দেয়নি। ফলে কাজ করা সম্ভব হয়নি। রাতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার পর পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে। রাত ৯টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads