• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
নেত্রকোনায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা : দণ্ডিত ১, আটক ৩৪

নেত্রকোনায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আটককৃতদের একাংশ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

নেত্রকোনায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা : দণ্ডিত ১, আটক ৩৪

  • নেত্রকোনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ জুন ২০১৯

নেত্রকোনায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদোপায় অবলম্বনের কারণে এক পরীক্ষার্থীকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ ছাড়াও অসদোপায়ে পরীক্ষা দিতে পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার অভিযোগে ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

দণ্ডিত পরীক্ষার্থী হচ্ছেন- কেন্দুয়া উপজেলা আরামবাগ এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৭)। তিনি নেত্রকোনা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

শুক্রবার ২য় ধাপে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে কারাদণ্ড ও আটকের ঘটনা হয় বলে জানান জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম।

তিনি জানান, নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্মার্ট ফোন নিয়ে জাহেদুল ইসলাম পরীক্ষায় অংশ নেন। এ সময় তিনি এ ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষা হলের বাইরে থেকে প্রশ্ন পাঠিয়ে উত্তর আনেন। ঘটনাটি নির্বাহী হাকিম মঈন উদ্দিন হাতেনাতে ধরে ফেলার পর ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদনণ্ড দেন।

অপরদিকে কেন্দুয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন ১২ জন নারীসহ ৩৪ জন শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং বিশ^বিদ্যালয় ও কলেজ পড়ূয়া শিক্ষার্থী। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার ছয়ানি গ্রামের শিল্পপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া শামীমের বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকেরা হলেন- আব্দুল হান্নান ছোটন (৪৫), তুহিন আক্তার (৩৫), মনি (২০), নুরজাহান (৩৭), স্মৃতি (২৮), ডলি (৩৫), রিপা (৩২), হাওয়া (৩৬), তাহমিনা (৩৮), তাছলিমা (৩৮), নিপা মুনালিসা (২৯), নাজনিন সুলতানা (১৮), নিলি আক্তার লাকী (২৬), সৈয়দ আবু সাইদ (২৪), মো. আজাহারুল ইসলাম (৩৮), সাইফুল ইসলাম (৪৬), জুয়েল (৪৫), মিন্টু (৪০) শিক্ষক মো. সাকি (৪৫) শিক্ষক লুৎফর (২৭), লোকমান হোসেন (২৩), শরিফ (৩৫), মজিুবুর বহমান (৪৮), নাজমুল ইসলাম (৩১), বিকাশ দে (১৮), শ্রী রাজন (২০), বিলাম সরদার (৩২), চয়ন দত্ত (৩২), আবুল হোসেন (৩৭), নিলয় মাহমুদ (১৪), রাকিব (১৮), শাহরিয়ার ইসলাম (১৩), ফারহান জাহিন (১৩), মো. পিয়াস (১৩)।

তাদের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলাসহ আটপাড়া, মদন, কেন্দুয়া ও ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলায়। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান কেন্দুয়া থানার ওসি মো. রাসেদুজ্জামান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads