• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
বুড়িগঙ্গা তীরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশ

বুড়িগঙ্গা তীরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০১৯

বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীর দখলমুক্ত করতে চতুর্থ দফায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। চতুর্থ দফার দ্বিতীয় দিন গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের মান্দাইল গকুলচর থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে বাবুবাজার ব্রিজ (কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ পাশে) পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ছোটবড় ১৫১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ১.৫ একর জায়গা দখলদারদের হাত থেকে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন  বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য ও উচ্ছেদ অভিযানের প্লানিং অব অপারেশন মো. দেলোয়ার হোসেন, উপপরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক নূর হোসেন।

অভিযান চলাকালে জিনজিরা এলাকার (ভুক্তভোগী) মো. মনির হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিআডব্লিউটিএ’র কাছে অনুরোধ করলেও আমাদের মালামাল সরানোর সময়টুকু দেননি তারা। সব মিশিয়ে দিয়েছে। জিনজিরা বাজার থেকে আগানগর বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জানান, নদীর সীমানার বাইরেই তাদের দোকানপাট ছিল। কিন্তু বিনা নোটিশেই বিআইডব্লিউটিএ তাদের দোকানপাটসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাঙচুর করে ফেলে। এতে তাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, নদীর তীরে সীমানা পিলারের ভেতরে যেসব স্থাপনা আছে আমরা শুধু ওইসব অবৈধ স্থাপনাই উচ্ছেদ করছি। সীমানা পিলারের বাইরে কোনো স্থাপনা ভেঙে ফেলার আমাদের ক্ষমতা নেই। উচ্ছেদ অভিযানে ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকায় উৎসুক জনতা, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও মালিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি।

তিনি আরো বলেন, চতুর্থ দফার উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে ১৫১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তিন তলা ৩টি, দোতলা ৮টি, এক তলা ২৩টি, আধা পাকা ৬৫টি, বাউন্ডারি ওয়াল ১৪টি, টিনের ঘর ৩৮টি। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১.৫ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে। ১২ কার্যদিবসের আজ দ্বিতীয় দিন।  আমাদের এ অভিযান ২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে। উচ্ছেদ করা জায়গায় ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক, গাইডওয়াল ও তীর প্রটেকশন নির্মাণ করা হবে। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষরোপণসহ বসার জায়গা থাকবে।

বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে কয়েক বছর আগেই নদী রক্ষা সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। সীমানা পিলার অতিক্রম করে নির্মিত স্থাপনাগুলোই শুধু উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নদী রক্ষায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। দখলদার যত ক্ষমতাশালী হোক, সেটা দেখা হবে না। নদীর জায়গা নদীতে ফিরিয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads