• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ঈদ ও বন্যার অজুহাতে কাঁচা বাজারে মূল্য লাগমহীন

ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশ

ঈদ ও বন্যার অজুহাতে কাঁচা বাজারে মূল্য লাগমহীন

  • শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ জুলাই ২০১৯

বগুড়ার শেরপুরে বিভিন্ন হাট বাজারে কাঁচাবাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার শেরপুরের বিভিন্ন হাটবাজারের সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারে প্রতি কেজিতে বেড়েছে দ্বিগুন। ব্যবসায়ীদের কাছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহা ও বন্যার কারনে সংকট দেখা দিয়েছে তাই মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী আসাদুল ও শফিকুর ইসলাম জানান, বর্তমানে রসুন-১২০টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০টাকা, পোটল, বেগুন, পুড়িকচু, ঢেড়স, ঝিংগা প্রতি কেজি ৩৫-৫০ টাকা, করলা ৭০টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫টাকা, আলু ২৫টাকা, কাকড়ল ৩০ টাকা, পিঁয়াজ (দেশি) ৪০ টাকা, এলসি ৩৫ টাকা, বড়বট্টি ৪০টাকা, শসা ৫০টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এবং লাল শাক, পুঁইশাক, কলমিশাক ও লাউশাক প্রতি আটি বিক্রি করেছেন ১৫-২০ টাকায়। যা সপ্তাহ খানেক আগেও অনেক কম দামে বিক্রি হয়েছে।

মুদি ব্যবসায়ী কামরুল জানান, ডালের বাজার-মুসুর মোটা ৮০টাকা, ছোট দানা মুসুর ১২০টাকা, বুট ৮০ টাকা, খেসারী ৬০টাকা, মুগ ১২০টাকা, মাশকালাই ১০০টাকা বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে বেড়েছে ২৫-৩০টাকা। মসলার বাজার-জিরা প্রতি ৩০ কেজির বস্তার মুল্য বেড়েছে ৭০০ টাকা। জিরা কেজি ৪০০ টাকা, সাদা এলাচ ২৮০০ টাকা, কালো এলাচ ১২০০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, গুল মরিচ-লবংগো ১০০০ টাকা, ধনিয়া ১২০ টাকা, কালোজিরা ২২০ টাকা, তেঁজপাতা ১০০ টাকা, হলুদ ১৮০ টাকা। তবে পেঁয়াজ ও চাউলের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।

হাটে কাঁচা বাজার করতে আসা রায়হান পলাশ নামক এক ব্যক্তি জানান দিন মুজুর হিসাবে সারাদিন কাজ করে যে টাকা উপার্জন করি কাঁচা বাজারে আসলেই বেশিরভাগ টাকা শেষ হয়ে যায়। এদিকে কাঁচাবাজার ও মসলা বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তারা আসন্ন ঈদুল আযহা ও বন্যার অজুহাতে পাইকারী ব্যবসায়ীরা কিছুটা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে মুল্য বৃদ্ধি করেছে। বাজার মূল্য আরো বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করেছেন। ঈদকে সামনে রেখে কাঁচাবাজার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রেতা সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সেই সাথে নিম্ন-আয়ের মানুষের নাবিশ্বাস দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উদ্বোগতি ঠেকাতে নিয়মিত মনিটরিং করা প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে কাঁচাবাজার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য উদ্বোগতি ঠেকাতে নিয়মিত মনিটরিং করা ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads