• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ছেলে ধরা সন্দেহে ছিনতাই চক্রের ৮ নারীকে পুলিশে সোপর্দ

ছেলে ধরা সন্দেহে ছিনতাই চক্রের আটককৃত ৮ নারী সদস্য।

ছবি : বাংলাদেশের খভর

সারা দেশ

ছেলে ধরা সন্দেহে ছিনতাই চক্রের ৮ নারীকে পুলিশে সোপর্দ

  • কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৯

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ছেলে ধরা সন্দেহে ছিনতাই চক্রের ৮ নারীকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা ডাক বাংলোর সামনে থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় জনতা।

আটককৃতরা হলেন, বি-বাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার দরমন্ডল গ্রামের সেন্টু মিয়ার স্ত্রী পিংকি বেগম (২২), একই এলাকার বদরুল মিয়ার স্ত্রী মাফিয়া বেগম (২০), সোলমানের স্ত্রী খাইরুন (২৮), গোলাপ মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (২০), জামান মিয়ার স্ত্রী খাদিজা (১৮), জালাল উদ্দিনের স্ত্রী পারুল বেগম (৩০), মন্নান মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৭) ও কামরুল মিয়ার স্ত্রী অঞ্জনা বেগম (২৫)। এদের মধ্যে পিংকির কোলে সাকিব নামের ৯ মাসের, খাইরুনের কোলে আলী নূর নামের দেড় বছরের ও পারুলের কোলে সারোয়ার নামের ৯ মাসের ৩টি শিশু ছিল। ওই নারীদের দাবি তারা তাদের সন্তান।

প্রত্যক্ষদর্শি উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের উত্তরসোম গ্রামের হালিম মিয়ার ছেলে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক দেলু মিয়া (২৮) জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাত্রী নিয়ে আসেন। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পরবর্তী যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমপাউন্ডে। এ সময় তিনি কমপ্লেক্স ভবনের সামনে ৪ নারীকে ঘুরাফেরা করতে দেখেন। পরে তিনি হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগে একটু ঘুরতে যান। এ সময় ওখানেও ৪ নারীকে বাচ্চা কোলে ঘুরাফেরা করতে দেখেন। এ সময় ওই ৪ নারীর মধ্যে ১ নারীকে দেখে হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগের এক রোগী চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। এ সময় অন্য রোগীরাও তাকে ছেলে ধরা সন্দেহে পাকড়াও করে। সন্দেহভাজন ওই নারীর এ অবস্থা দেখে বহিঃর্বিভাগে ঘুরতে থাকা বাকী ৩ নারী ও বাহিরে থাকা ৪ নারী তাকে উদ্ধারের চেষ্ঠা চালায় এবং উদ্ধার করেন। পরে তারা মাহেদ্র গাড়ী করে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ত্যাগ করার চেষ্ঠা করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে উপজেলার ডাক বাংলোর সামনে থেকে আটক করে ইউএনও অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের কালীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

সূত্র আরো জানায়, সন্দেহ ভাজন ওই নারী এর আগে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণধোলাই দেওয়া হয়। তাকে দেখেই স্বর্ণের চেইন হারানো ওই নারী চিৎকার চেচামেচি করেন।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুবকর মিয়া বলেন, ইউএনও অফিস থেকে ফোন করে থানা পুলিশের কাছে ৮ নারীকে সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। তথ্য যাচাই বাচাই চলছে। প্রমান পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। না পেলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads