মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সুরাইয়া আফরিন বৈশাখী (১৮) নামে এক নববধূ আত্মহত্যা করেছে। সে ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়াটার ক্যাম্পে কর্মরত পুলিশ কনষ্টেবল আবুল কালামের স্ত্রী ও মালখানগর গ্রামের হুমায়ূন কবীর মামুনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। ২ মাস আগে তার বিয়ে হয়।
গতকাল সোমবার (২৬ আগষ্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ভাড়া বাসায় ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের দাবী। সে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত ৩ বছর ধরে বৈশাখীর মাঝে মাঝে মানসিক সমস্যা হয়।
তার মা মীরা বেগম জানান মানসিক সমস্যার জন্য তারা কখনো ডাক্তারের কাছে যাননি। আজ অনেকক্ষণ দরজা বন্ধ থাকায় দরজা ভেঙ্গে দেখেন মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। দুপুরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ থানায় নিয়ে আসে।
সুরাইয়া আফরিন বৈশাখীর স্বামী পুলিশ কনষ্টেবল আবুল কালাম জানান, তিনি ২ দিন আগে ছুটি নিয়ে বৈশাখীদের বাড়ি এসেছেন। তাদের বিয়ে হয়েছে ২ বছর। কবে আনুষ্ঠানিক ভাবে উঠিয়ে নিবে সে আলোচনা করেছেন শ^শুর শাশুরির সাথে। আজ সকালে বৈশাখীকে নিয়ে ঘুরতেও বেরিয়েছিলেন। বেলা ১১ টার দিকে বৈশাখীকে বাড়িতে রেখে তিনি সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। মাওয়া ঘাট যাওয়ার আগেই ফোন আসলে তিনি ফেরৎ আসেন।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইন চার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের প্রস্তুতি চলছে। তবে মেয়ের বাবা-মা লাশ নিয়ে যেতে চান। তারা দুজন লিখিত দিলে আমরা বিবেচনা করব।