• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
নাম তার ‘খামাখা ব্রিজ’

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

নাম তার ‘খামাখা ব্রিজ’

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ভালো রাস্তা কেটে অপ্রয়োজনে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল উঁচু এক সেতু। কিন্তু তাতে নির্মাণ করা হয়নি ভালোমানের অ্যাপ্রোচ সড়ক। দেওয়া হয়নি গাইডওয়াল। এতে করে অ্যাপ্রোচ অংশের বালি ধসে পাশের খাদে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই সেখানে যানবাহন খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় বিরক্ত হয়ে এলাকাবাসী সেতুটির নাম দিয়েছেন খামাখা ব্রিজ।

সরেজমিন জানা যায়, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত আনছার মেম্বর পাড়া ওহাব ফকিরের বাড়ির কাছের খালের উপর এলজিইডি’র একটি রাস্তা কেটে ৪০ ফুট দৈর্ঘের ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ কর্মসূচীর আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৬ টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাবেয়া কনস্ট্রাকশন সেতুটি নির্মাণ করে।

স্থানীয় অটোচালক মোখছেদ মোল্লা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়ে ওঠা-নামা করতে গিয়ে প্রায়ই অটোরিক্সা, ভ্যান, পিক-আপ উল্টে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সেতুটিতে দ্রুত গাইড বাঁধ দিয়ে ঢালসহ অ্যাপ্রোচ সড়কটি ভালোভাবে নির্মাণ করা দরকার।

স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ ফকির (৫৫) সাহিন বেপারী (৩০), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), রিনা বেগম (৪০), নুরজাহান বেগম (৬০)সহ অনেকেই জানান, এখানে এ সেতুর কোন প্রয়োজনই ছিল না। জায়গাটি সামান্য নীচু হলেও খাল বা জলাশয় নয়। এখান দিয়ে কোন পানিও প্রবাহিত হয় না। ছোট একটি কালভার্টসহ এখানে সুন্দর একটি রাস্তা ছিল। রাস্তাটি কেটে অন্তত ১০ ফুট উঁচু করে সেতুটি করাতে আমাদের এখন খুবই অসুবিধা হচ্ছে। ব্রিজটিতে উঠতে গিয়ে নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ জন্য এলাকার লোকজন বিরক্ত হয়ে ব্রিজটির নাম দিয়েছে ‘খামাখা ব্রিজ’।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিজেদের পকেট ভারী করতে সংশ্লিষ্টরা যেনতেনভাবে এখানে এ ধরণের একটি অপ্রয়োজনীয় সেতু নির্মাণ করেছেন।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ মন্ডল জানান, সেতুটির দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক করা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে ধসে গিয়ে চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। সেতু নির্মাণের সঙ্গে গাইড ওয়ালের কাজ ধরা ছিল না। আগামীতে দুই পাশে গাইড ওয়াল দিয়ে ভালভাবে এ্যাপ্রোচ সড়ক করার চেষ্টা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম জানান, এলজিইডি’র রাস্তা কেটে ওই জায়গায় সেতু করার ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস (পিআইও) আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। জনগণের যেহেতু দুর্ভোগ হচ্ছে সেহেতু পিআইও অফিস তা নিরসনে আশা করি পদক্ষেপ নেবে। অন্যথায় আমরা অ্যাপ্রোচ সড়ক করে দেওয়ার চেষ্টা করব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads