দীর্ঘ সাত বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকার পর গত ১ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবার ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়। পূজার ছুটির বন্ধ থাকলেও থেমে নেই ইলিশ রপ্তানি। বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতে ইলিশ রপ্তানির জন্য চালু রাখা হয়েছে কাস্টমস ও বন্দরের বিভিন্ন শাখা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক আদেশে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে ৫ লাখ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।
গত ৫ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬০ কেজি ইলিশ। গত শুক্রবার থেকে দুর্গাপূজার কারণে ভারতে রাষ্ট্রীয় ছুটি চালু থাকলেও ব্যতিক্রম ঘটেছে ইলিশের ক্ষেত্রে। শুধু বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি এবং ভারতে ইলিশ রপ্তানির জন্য উভয় দেশের কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমি এন্টারপ্রাইজের মালিক সৈয়দ আজিজুল হক জানান, ছুটির দিনেও নির্বিঘ্নে ইলিশ রপ্তানির জন্য বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু আছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়ি বেনাপোলে পৌঁছাতে দেরি হলেও উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার কারণে রপ্তানিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবদুল কুদ্দুস বলেন, গত ৫ দিনে একাধিক পণ্য চালানের মাধ্যমে প্রায় সোয়া দুই লাখ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে, যার এলসি মূল্য বাবদ বাংলাদেশে এসেছে প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা)। হাতে এখনো ৫ দিন সময় বাকি, আশা করছি ১০ তারিখের আগেই নির্ধারিত ৫ লাখ টন মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান ভারতে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে বেনাপোল স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা প্রথম চালানের ৩০ হাজার ৫৬০ কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেন।
ঢাকার রপ্তানিকারক অ্যাকোয়াটিক রিসোর্স লিমিটেডের কাছ থেকে কলকাতার আমদানিকারক নাজ ইমপেক্স ভারত প্রাইভেট লিমিটেড প্রতি কেজি ৬ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৫০৭.২৪ পয়সা, ১ ডলারে ৮৪.৫৪ টাকা হিসাবে) দরে এ ইলিশ কিনছেন।
কলকাতায় ইলিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এবার বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে শুভেচ্ছা হিসেবে।
