• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
তিস্তাপাড়ের শিশুদের মাঝে আলো ছড়াচ্ছেন ভূমিহীন লোকমান

লোকমানের পাঠশালা

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

তিস্তাপাড়ের শিশুদের মাঝে আলো ছড়াচ্ছেন ভূমিহীন লোকমান

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০১৯

তিস্তাপাড়ের শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন ভূমিহীন হতদরিদ্র লোকমান আলী। তিনি নিজ বাড়ীতেই গড়ে তুলেছেন পাঠশালা। সেখানে পড়তে আসে তিস্তা পাড়ের হতদরিদ্র পরিবারের শিশুরা। প্রতিদিন সকাল বিকাল শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখরিত থাকে তার পাঠশালা।

সরেজমিনে দেখাগেছে, জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা পাড়ের বারোঘরিয়া আদর্শ গ্রাম জেলা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে। যে গ্রামে এখনো পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ। নেই শিক্ষা সচেতনতা। অভাব অনটনের সংসারেও ভুমিহীন লোকমান আলী ২০০৯ সাল থেকে নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন পাঠশালা। শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন তিস্তা চরের দরিদ্র পরিবারের শিশুদের মাঝে।

এ সময় তিস্তা পাড়ের ভুমিহীন লোকমান আলী শোনালেন তিস্তা পাড়ের অসহায় এসব দরিদ্র শিশুদের পাঠ দানের অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, এখানকার সব কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিনা খরচে শিক্ষার আলো ছড়ানোর চেষ্টা করছি। ২০০৯ সাল থেকে আমি আমার বাড়িতেই পাঠদান শুরু করি। এখন কিশোর ও অভিভাবকদের মধ্যে অনেকটা সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। লোকমান আলী তিস্তা পাড়ের এসব হতদরিদ্র শিশুদের জন্য নিজের অপার্জনের পয়সায় কিনে দিচ্ছেন কলম খাতা ও পোশাক। অবসরে বসে না থেকে ছুটে যান তিস্তা চরের বাড়ি বাড়ি আর খোঁজ নেন শিশুদের পড়াশোনার।

চরম দারিদ্রতার কষাঘাতে ১৯৯৫ সালে তার স্ত্রী নুরবানু বেগম তাকে ছেড়ে চলে যান। চার সন্তানকে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কঠোর পরিশ্রম করে তাদেরকে শিক্ষিত করে তুলেছেন। অভাব অনটনের মধ্যেও কঠোর পরিশ্রমে সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করার সফলতা তাকে যুগিয়েছে অনুপ্রেরণা। তাই চরের অবহেলিত শিশুদের শিক্ষিত করতে ক্রমাগত কাজ করে চলেছেন এ মানুষটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads