• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
সাতক্ষীরায় যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন

সাতক্ষীরায় যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

সাতক্ষীরায় যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন

বসতঘর ভাংচুর-লুটপাট

  • সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ অক্টোবর ২০১৯

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আওয়ামী নেতার নেতৃত্বে বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক যুবক জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাংচুর ও লুটপাটে অংশ নেয়ায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে ঘণ্টাব্যাপি কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বাকসা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

আটকরা হলেন : বাকড়া গ্রামের আশরাফুল, মোস্তাফিজুর, নজরুল, জলিল, ফিরোজ ও সেলিম।

কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাকসা গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। ভোর ৬টার দিকে আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন আতর্কিতভাবে হামলা চালায়। আমার ছেলে ওসমান গণি, ছেলে বউ আসমত আরা আমার স্ত্রী মোমেনাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায় ও বসতঘর ভাংচুর শুরু করে। স্থানীয় গ্রামবাসী বাঁধা দিতে আসলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২২ শতক জমি শ্বশুর আমার স্ত্রীর নামে লিখে দেয়। তিন বছর আগে সেই জমিতে ঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছে। এই জমি আমার শ্বশুরের ভাতিজারা দাবি করে। মূলত এটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন। এই দ্বন্দ্বের সুযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর আমার ছেলের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করি। পরে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নেয় গফুর। টাকা নেওয়ার পরেই তার নেতৃত্বে তারা এ তাণ্ডব চলেছে।

অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মারুফ হোসেন জানান, অতর্কিত এ হামলার পর স্থানীয় এক যুবক জরুরী সেবা- ৯৯৯ কল দেয়। তারপর কলারোয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬ জনকে আটক করে।

ঘটনার বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনির উল গীয়াস বলেন, ভাংচুর চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে থানাতে কেউ কল দেয়নি। জরুরীসেবা ৯৯৯ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের একটি টিম সেখানে পৌঁছায়। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাতনামা ১২-১৩ জনের নামে থানায় এজাহার দিয়েছেন আজিজুল ইসলাম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads