• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
টাঙ্গাইলে ভূয়া যুগ্মসচিবসহ আটক ২

ভূয়া যুগ্মসচিব মো. আশরাফ আলী ও তার সহযোগি মুমিন আকন্দ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

টাঙ্গাইলে ভূয়া যুগ্মসচিবসহ আটক ২

  • টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ অক্টোবর ২০১৯

টাঙ্গাইলে ভূয়া যুগ্ম সচিব প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ ২ জন আটক করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন দিনাজপুর জেলার খানসাবা উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও ভুয়া যুগ্মসচিব মো. আশরাফ আলী ও গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তর খইবাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে ও সহযোগী মুমিন আকন্দ (৩৪)।

আটককৃতদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট সুখময় সরকার দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ ও ১৮৯ এর ধারা লঙ্গনের দায়ে প্রতারক আশরাফ আলী খান কে ১ বছরের কারাদন্ড এবং দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারা লঙ্গনের দায়ে প্রতারক সহযোগী মুমিন আকন্দকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে।

এ প্রসঙ্গে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুখময় সরকার জানান, মো. আশরাফ আলী বিভিন্ন চাকুরী প্রত্যাশীদের প্রতারনা করার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন সে নিজেকে যুগ্মসচিব পরিচয় দিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করতে চান। গনশুনানী চলার সময় তিনি নিজেকে যুগ্মসচিব পরিচয় দিলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গোপনীয় শাখার কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। পরে তারা তাকে বসতে বললে তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে যান এক পর্যায়ে গোপনীয় শাখার কর্মচারীদের হুমকী ধামকী প্রদান করেন। পরে জোর করেই জেলা প্রশাসকের কক্ষে গিয়ে অসংলগ্ন আচরন করেন। জেলা প্রশাসকের সন্দেহ হলে জেলা প্রশাসক পুলিশকে ডাকেন এবং তার কার্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তাদের ডাকেন। পরে এক্সকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট এবং টাঙ্গাইল সদর থানার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই প্রতারক চক্রের মুখোশ বেরিয়ে আসে।

বাইরে অপেক্ষামান প্রতারক চক্রের অপর সদস্য মুমিন আকন্দকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন আশরাফ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাকুরীর কথা বলে টাকা নেয়। প্রতারক গত তিন মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে তিনি আশরাফের সাথে গিয়েছেন। একেক জায়গায় একেক পরিচয় কখনো যুগ্মসচিব কখনো বিচারপতির ভাই, কখনো রাজনৈতিক নেতার এপিএস পরিচয়ে চলতো তাদের পরিচয়।

তিনি আরো বলেন, তার এক আত্মীয় কাছ থেকে চাকুরীর জন্য দুইলাখ টাকা ইতিমধ্যে আশরাফকে দিয়েছেন আরো এক লাখ টাকা দিতেন। দেয়ার উদ্দেশ্যে আনা ওই এক লাখ টাকা মুমিন আকন্দ এর কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads