নরসিংদীর রায়পুরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরির আঘাতে মো. মানিক মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার রায়পুরার মাহমুদপুর গ্রামের ঈদগাঁ সংলগ্ন ব্রীজের ওপর এ ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী জাহেদা বেগম ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অঞ্জাতনামা ৬ থেকে ৭ জনকে আসামী করে রায়পুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় মামলার এজাহারনামীয় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত মানিক মাহমুদপুর গ্রামের মৃত মুনতাজ মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মাহমুদপুর গ্রামের ইব্রাহিম হাজী ও তার ছেলে মাসুদ। আর তদন্তের স্বার্থে বাকি আসামীদের নাম জানায় নি পুলিশ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাস ধরেই জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিবেশি মো. ইব্রাহিম হাজীসহ আরো কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় নিহত মানিক মিয়ার। এরই জের ধরে রবিবার রাতে স্থানীয় হাসিমপুর মৌলভীবাজার থেকে ছেলে রাজিবকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মাহমুদপুর ব্রীজের ওপর এসে পৌঁছালে ইব্রাহীম তাঁর লোকজন নিয়ে মানিক ও তার ছেলে রাজিবকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। ওই সময় ইব্রাহীম হাজীর ছেলে মাসুদ ছুরি দিয়ে মানিকের পেটে আঘাত করলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিচে পড়ে যান। পরে ছেলে রাজিব দৌঁড়ে গিয়ে বাড়ির লোকজনকে খবর দিলে তাঁরা এসে আহত অবস্থায় মানিককে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মানিককে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে রাজিব বলেন, আমি বাবাকে নিয়ে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাহমুদপুর ব্রীজের ওপর এসে পৌঁছানোর পর ইব্রাহীম হাজী তার ছেলে মাসুদ ও বাদলসহ আরো ৮জন লোক আমাদেরকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। তখন মাসুদ আমার বাবার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তবে অন্ধকার থাকায় ওই সময় তিনজন ছাড়া বাকি লোকদের চিনতে পারিনি।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডা. লায়লা ইয়াছমিন বলেন, রাতে মানিককে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান।
রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক দেব দুলাল বলেন, এ ঘটনায় সোমবার সকালে এজাহারনামীয় আসামী ইব্রাহিম হাজী ও তার ছেলে মাসুদকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।