• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
টিকেট পাচ্ছেনা লাকসামের উপকূল বাস যাত্রীরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কুমিল্লার লাকসামের উপকূল বাস যাত্রীদের দুর্ভোগ

টিকেট পাচ্ছেনা লাকসামের উপকূল বাস যাত্রীরা

  • কুদরত উল্যাহ, মনোহরগঞ্জ-লাকসাম প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ নভেম্বর ২০১৯

দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের লাইফ-লাইন খ্যাত কুমিল্লা-লাকসাম-মনোহরঞ্জ-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বুক চিড়ে অতিক্রম করে কুমিল্লা এবং নোয়াখালীর আঞ্চলিক উপকূল বাস সার্ভিস। আর এই বাস সার্ভিসে টিকেট না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লাকসামবাসীরা। অভিযোগ উঠেছে উপকূল বাসের কর্তৃপক্ষের উপর।

কুমিল্লা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত একটি মহানগর। এটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর বাংলাদেশে তৃতীয় বৃহত্তম শহর। এটির মেট্রোপলিটন এলাকার আয়োতন ৩০৮৫ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৪৯ লাখেরও বেশি। ১৭৫৭ সালে এ অঞ্চলটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলার দেওয়ানী লাভ করে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালের ১লা অক্টোবর এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তরর্গত চাঁদপুর ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া (মহকুমা) পৃথক জেলায় পরিণত হয়। বৃহত্তর নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং ফেনী এক সময় কুমিল্লা জেলার অংশ ছিল।

বাংলাদেশের মানচিত্রে লাকসাম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। তাছাড়া বৃটেনের মহারাণী ভিক্টোরিয়া কর্তৃক উপাধি প্রাপ্ত নওয়াব ফয়েজুন্নেছা চৌধুরানীর স্মৃতি বিজড়িত লাকসাম বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করে আছে। লাকসাম এর প্রায় চার শত একর জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশে প্রায় দ্বিতীয় বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন যার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ভ্রমন করা সম্ভব এক সময়ের বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম থানা লাকসামকে বিভক্ত করে ইতিমধ্যে চারটি উপজেলা গঠিত হয়েছে। এই চারটি উপজেলা সর্ব মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ।

উপকূল বাসটি কুমিল্লা-নোয়াখালী-মাইজদি ভায়া লাকসাম যাওয়া আসা করলেও যাত্রীদের সংখ্যায় বেশি চলাচল করে লাকসাম এলাকার যাত্রীরা তাই লাকসাম অঞ্চলের মানুষের দাবি যাতে কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত আলাদা টিকেটের ব্যবস্থা রাখলে দুর্ভোগ কমবে বলে আশা রাখছেন বিশ্লেষকরা।

এ ব্যপারে কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বাংলাদেশের খবরকে জানান, টিকেটের বিষয়ে আমি অবগত নই, এটা বাস কর্তৃপক্ষের ব্যপার। তার পরও আমি বিষয়টি দেখছি। আশা করছি খুব শীগ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads