• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সরকার ও সমাজকে বিরলের কড়া সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে হবে : সুলতানা কামাল

কড়া সম্প্রদায়কে উচ্ছেদের হুমকী প্রদানের অভিযোগ এনে দিনাজপুরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় অ্যাপভোকেসী প্লাটফরমের আহ্বায়ক সুলতানা কামাল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সরকার ও সমাজকে বিরলের কড়া সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে হবে : সুলতানা কামাল

  • দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

সরকার এবং সমাজের কাছে নিরাপত্তাহীনতায় থাকা দিনাজপুরের বিরলে আদিবাসী কড়া সম্প্রদায়ের মানুষ নি:সংকোচ এবং নিরাপদ জীবন যাপনের অধিকার চায়। উচ্ছেদের হুমকিতে থাকা কড়া সম্প্রদায়ের ১৮ পরিবারের অসহায় মানুষগুলো যেন এদেশে বসবাসের বিশ্বাস যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে, সবসময় তাদের দিন কাটছে আতংকে তারা সুষ্ঠ এবং শান্তিপূর্ণ নিরাপদ জীবনযাপন ও বসবাসের অধিকার দিতে হবে। সরকার ও সমাজকে বিরলের কড়া সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে হবে।

আজ শনিবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসী প্লাট ফরমের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতীয় অ্যাডভোকেসী প্লাটফরমের আহ্বায়ক সুলতানা কামাল উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত মার্চে বিরলের হালজা গ্রামে সন্ত্রাসীরা ভুমি দখলের চেষ্টায় নিরিহ কড়া সম্প্রদায়ের মানুষদের অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে, কিন্তু এখনো প্রশাসনিক ভাবে তার কোন বিচারিক প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়নি। আমরা বিরলের নির্যাতিত মানুষদের দেখতে গিয়ে জানতে পেরেছি এই এলাকায় ৫২ একর জমিতে বসবাস করতো ৩০০ কড়া সম্প্রদায়ের মানুষ অথচ সময়ের পরিক্রমায় এখন সেখানে ১৫ একর ভুমিতে রয়েছে মাত্র ১৮টি পরিবারের জনা ৭০ মানুষ।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ওই হামলায় এক মাস বয়সী শিশুর বুকে পা উঠিয়ে মেরে ফেলার হুমকী প্রদানকারী সন্ত্রাসী এখনো বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নানান ভাবে তারা,নারী এবং পুরুষদের ভয়ভীতি প্রর্দশন করলেও প্রতিকার পাচ্ছেনা অসহায় মানুষগুলো।

এদের সম্পত্তি দখলে নেয়ার জন্যেই বিভিন্ন সময়ে ভুমিদস্যুরা নানান কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে ভীতির সঞ্চার ঘটিয়েছে ফলে এদের অনেকেই দেশের সীমান্ত পেরিয়ে জীবন বাাঁচাতে পালিয়েছে ভারত। সংবাদ সম্মেরনে জানানো হয়, এই সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষ দেশের স্বাধীনতার জন্যে যুদ্ধ করেছে যার মধ্যে আজো ২ জন স্বীকৃতিবিহীন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে থপাল কড়া ও কীনা কড়া জীবন-মৃত্যুর কাছাকাছি পৌছে গেছেন। অসহায় এবং নিরিহ মানুষ হওয়ায় এরা আজো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় পৌছাতে পারেনি আমরা সরকারের কাছে তাদের তালিকা ভুক্তির দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসী প্লাট ফরমের সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মেয়র এবং এনএনএমসি‘র উপদেষ্টা মো: শফিকুল হক ছুটু, অ্যাডভোকেসী প্লাটফরম দিনাজপুরের সভাপতি চিত্ত ঘোষ, হেক্স/ইপারের এ্যাকটিং কান্ট্রি ডিরেক্টর আবুল হাসনাত ও এনএনএমসি‘র সম্বন্বয়ক মো: নুরুল আলম শুভ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads