স্ত্রীর উপর অভিমান করে আমির আলী গাজী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি রশিতে গলা ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর গ্রামে শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমির আলী যথাক্রমে এক ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জনক।
আজ রোববার সকালে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের ভাগ্নে আসাদুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে তার মামী মমতাজ বেগম কিছুদিন আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী পিত্রালয়ে চলে যায়। মামিকে ফিরিয়ে আনতে তার মামা আমির আলী একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির শরণাপন্ন হন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সন্ধ্যার পর প্রতিবেশীর বাড়িতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
আসাদুল ইসলাম আরো জানান, সালিশী বৈঠক চলাকালে তার মামি স্বামীগৃহে আসতে অস্বীকৃতি জানান এবং বিচারকদের সামনে আমির আলীকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর কথা বলেন। এক পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সালিশি বৈঠক শেষে রাত দশটার দিকে তার মামা বিচারকদের একজন আব্দুল হাকিম এর সাথে কথা বলে বাড়িতে ফিরে আসে। পরবর্তীতে রাত দুইটার দিকে শোবার ঘরের আড়ার সাথে রশিতে গলা ঝুলিয়ে আমির আলীকে তার মেয়ে ও পুত্রবধূ অবস্থায় দেখতে পায়।
স্বামীর মৃত্যুর বিষয়ে মমতাজ বেগম জানান, অত্যাচার-নির্যাতনের কারণেই তিনি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে ছিলেন। শনিবার রাতের বৈঠকে তিনি পুনরায় স্বামীগৃহে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সালিশী বৈঠক থেকে চলে আসেন। তাই স্বামীর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কোনো কিছু জানেন না।
সালিশি বৈঠকে উপস্থিত আমজাদ হোসেন মোল্লা ও আব্দুল হাকিম সহ মুজিবুর রহমান জানান চেষ্টা চালিয়েও দু'পক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। রোববার সকালে তারা আমীর আলীর আত্মহত্যার বিষয়টি জানতে পারেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কেউ কোনো অভিযোগ না করলে ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হবে। তবে অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা