দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এজন্য দেশব্যাপী বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিটি বাজারে পর্যাপ্ত দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। এজন্য পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আর কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়ালে অথবা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার। গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ (মুড়িকাটা) বাজারে এসেছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে এবং যা এখনো চলমান রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসছে। বাজারে মূল্য স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপণ্যের সরবরাহ এবং মূল্য তদারকির জন্য ব্যাপকভাবে অভিযান চালানো হবে। এজন্য প্রতিটি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দেশব্যাপী এ অভিযান জোরদার করা হবে। ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কাছে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পেঁয়াজের আমদানি, সরবরাহ ও বিক্রয়মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এজন্য সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশব্যাপী প্রায় দুইশ ট্রাক সেলের মাধ্যমে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত এ বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া বেশ কিছুসংখ্যক আমদানিকারক ও সামাজিক সংগঠন দেশের বিভিন্ন জেলায় ন্যায্যমূল্যে ৪৫ টাকা কেজি মূল্যে ট্রাক সেলের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের আমদানি মূল্য, ক্রয়মূল্যের চালান/রসিদ সংরক্ষণে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দোকানে পণ্যের বিক্রয় মূল্যের তালিকা টাঙিয়ে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাজার মনিটরিং অভিযান চলাকালে অন্যায়ভাবে কোনো ব্যবসায়ীকে হয়রানি করা হবে না। তবে কারসাজি করে নিত্যপণ্য মজুত করে দাম বাড়ালে অথবা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
