• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
মধুর ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত চলনবিলের মৌচাষীরা

ছবি : ‍বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

মধুর ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত চলনবিলের মৌচাষীরা

  • তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ জানুয়ারি ২০২০

চলনবিল অঞ্চলে প্রতি বছর শীত মৌসুমে স্থানীয় ও বহিরাগত মৌচাষীরা সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি খামার বসিয়ে মৌচাষের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ নির্ভেজাল মধু সংগ্রহ করে থাকেন। চলতি বছর এ অঞ্চল থেকে কমপক্ষে ২০ কোটি টাকার মধু সংগ্রহ হবে বলে আশা করছেন মৌচাষীরা। তবে বিপুল পরিমাণ মধু উৎপাদন হলেও সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের অভাবে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।  

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে চলনবিলের ৯ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। এখন কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, পাবনা, বগুড়া, যশোর, নাটোর ও সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সারে ছয় শতাধিক মৌচাষী চলনবিল অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদন ও সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।  

এদিকে মৌচাষী মাসুদ, রাজু, কোবাদ আলী প্রমূখ জানান, প্রতি ১০০ মৌবাক্সে তারা সপ্তাহে ৪ মণের মতো মধু সংগ্রহ করে থাকেন। সব মৌচাষী মিলে চলনবিল অঞ্চল থেকে বিপুল পরিমাণ মধু সংগ্রহ করলেও তা বাজারজাতকরণে ব্যাপক সমস্যা রয়ে গেছে।   

মৌচাষীরা আরো বলেন, সাধারণত বেসরকারি কোম্পানীগুলোই মধু ক্রয় করে থাকেন। সেগুলো আবার মধ্যসত্ব ভোগীদের মাধ্যমে। তাদের সংগৃহিত মধু বিভিন্ন কোম্পানী ও শিল্প কারখানায় সরাসরি সরবরাহ করতে পারলে তারা লাভবান হতে পারতেন। এ বছর তারা প্রতি কেজি মধু বিক্রি করছেন ২০০/২৫০ টাকা দরে। অথচ প্রক্রিয়াজাত ১ কেজি মধু দোকান থেকে কিনতে লাগে ৬০০/৭৫০ টাকা।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক  বলেন, সরকারিভাবে মধু ক্রয় করা গেলে মৌচাষীরা ন্যায্য দাম পেতেন। তিনি আশাবাদী, যেহেতু চলনবিল অঞ্চল থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মধু সংগ্রহ করছেন মৌচাষীরা। একসময় সরকারিভাবেও মধু ক্রয় শুরু হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads