এবার স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের নামে সরকারি পাহাড় দখল করার পায়তারা করছে চিহ্নিত ভুমিদস্যূ চক্র। কক্সবাজারের বহুআলোচিত টিএন্ডডি পাহাড়ের বেশ কিছু জমি নিয়ে হঠাৎ করে রাতারাতি সরকার অনুমোদিত সাইনবোর্ড লাগিয়ে স্কার ট্রেনিং সেন্টারের ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবী, কিছুদিন আগে সেই ঘরে রেস্টুরেন্ট করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্টদের বাধা আসে। পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে এই জমিটি দখল করার পায়তারা করা হচ্ছে।এদিকে জমি দখল হলেও এর কিছুই জানে না টিএন্ডটি কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার বাইপাস সড়ক দিয়ে যাওয়া পথেই সরকারি টিএন্ডটি টাওয়ারের নীচে দেখা মিলছে স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। একটি টিনসেড ঘরে চারিদিকে দরজা বন্ধ থাকলেও সেখানে ঝুলছে এই কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ড। পরে সেখানে দেওয়া মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে জাবেদ নামের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা সরকারি জমি সেটা সত্য তবে আমরা ঘরটি ভাড়া নিয়েছি। আর এখনো টেকনিক্যাল স্কুলের জন্য কোনো উপকরণ সেখানে নেওয়া হয়নি। চলতি বছর থেকে ভর্তি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে মাত্র। তবে কার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি তা জানেন না বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বলেন, এসব জমি একদিনে নয় বহু বছর ধরে দখল করা হচ্ছে। তবে কোনো সময় এখানে টিএন্ডটি অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ভুমিকা দেখা যায়নি।
এদিকে জেলা টিএন্ডটি অফিস সূত্রে জানা গেছে,১৯৭৬ সালে বনবিভাগ থেকে ৬০ একর জমি লীজ নিয়ে সেখানে বাংলাদেশ তার অ্যান্ড টেলিফোন বোর্ডের আওতায় টাওয়ারসহ অফিস করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি প্রায় অর্ধেকের বেশি জমি দখল করে নেয়। সেখানে অনেকে সরকারি জমি বিক্রি করে বিপুল টাকায় আয় করেছে। সম্প্রতি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সরকারি জমি দখল করে উল্টো জেলা প্রশাসকসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। তবে সম্প্রতি সময়ে স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের নামে দখল করার বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
এ ব্যপারে টিএন্ডটি অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুল হান্নান বলেন, স্কাস বা কারিগরী ট্রেনিং সেন্টারের নামে জমি দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। আর আমি কিছুদিনের মধ্যে অবসরে যাব তাই এগুলো আমি জানি না।