• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
কুলাউড়ায় সুপার চাইলেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কুলাউড়ায় সুপার চাইলেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

কুলাউড়ার জালালীয়া মাদ্রাসার ১০জন শিক্ষক একটি লিখিত আবেদনে মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাও: মো: মুজিবুর রহমান চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সুপার নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। মাদ্রাসা সুপার নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় রয়েছেন হাজতে থাকায় শিক্ষকরা এ আবেদন করেন।

আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, সুপার মাদরাসায় উপস্থিত না হওয়ায় মাদ্রাসার প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ। সুপারের পক্ষের এক শিক্ষক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চাবি হস্তান্তর করছেন না সহকারী সুপারের কাছে। যার ফলে কোনো শিক্ষার্থী প্রশংসা পত্র, সনদ পত্রও নিতে পারছেনা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, ছাত্রীদের যৌন হয়রানিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে কুলাউড়ার জালালিয়া সিনিয়র মাদরাসার সুপার মাওলানা আবদুস শহীদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ১৩ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালে আবদুস শহীদ আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান। এর পর থেকে মাদ্রাসায় সুপার অনুপস্থিত। কিন্তু সহকারী এক শিক্ষক আব্দুস সামাদ প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় চাবি হন্তান্তর করছেন না সহকারী সুপারের কাছে।

কুলাউড়া শিক্ষা অফিসার মো: আনোয়ার বলেন- সেই প্রতিষ্ঠানে কোন কমিটি নেই। আর সহকারী সুপার দায়িত্ব পালন করবেন এটাই স্বাভাবিক।

এ নিয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠানে কোন কারণে সুপার অনুপস্থিত থাকলে সহকারী সুপার সম্পন্ন তার দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯/০৮/২০১৯ইং তারিখে এক ছাত্রীর বাবা কুলাউড়া জালালিয়া সিনিয়র মাদরাসার সুপার মাওলানা আবদুস শহীদ এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন। এরপর আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই মাদরাসা সুপার শহীদকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৮ জানুয়ারী আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads