• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

নারীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ, হাতীবান্ধায় অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

  • হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ মার্চ ২০২০

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আসহায় এক নারীকে যৌন হয়রানী ও কু-প্রস্তাব দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে এমএ সোবাহান নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।তার  শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

বুধবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী মোক্তারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ঘণ্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এমএ সোবাহান দক্ষিণ গড্ডিমারী মোক্তারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

মনববন্ধনে বক্তারা বলেন, অতিদ্রুত অভিযুক্ত এমএ সোবাহানকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এই সোবাহান শিক্ষক নামে কলঙ্ক। সে নানা ভাবে শিক্ষার্থীদেরও যৌন হয়রানী করে থাকেন। সোবাহানের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।    

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ গড্ডিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাশেদা ও আছিমা নামে দুইজন প্রক্সি শিক্ষক নেওয়া হয়। এমএ সোবাহান প্রক্সি শিক্ষিকা রাশেদাকে কুপ্রস্তাব দেয়। শুধু তাই নয় ওই নারীকে একা পেয়ে বিদ্যালয়ের নিচ তলার রুমে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় ও জড়িয়ে ধরেন। এতে ওই নারী রাজি না হওয়ায় তাকে বিদ্যালয় থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। আর তার পরিবর্তে আলী আকবর রানা নামে আরেক প্রক্সি শিক্ষক নেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিচার না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী ওই নারী।

এ দিকে ‘দৈনিক কালের কন্ঠ’ পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর যৌন হয়রানীর শিকার অসহায় নারীর মামলা নথি ভূক্ত করেছে পুলিশ। এর আগে গত ৫মার্চ হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ করে ভূক্তভোগী ওই নারী। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পুলিশ এতো দিন মামলা নথি ভূক্ত করেনি। মঙ্গলবার ১০মার্চ রাতে মামলা নথি ভূক্ত করেছে পুলিশ।

মামলা নথি ভূক্তের পর গাঁ ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক এমএ সোবাহান।

এ বিষয়ে দক্ষিণ গড্ডিমারী মোক্তারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহেদুজ্জামান বলেন, সোবাহান বিদ্যালয় আসেন নাই। দুই দিনের ছুটি নিয়েছেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে মামলা নথি ভূক্ত করা হয়েছে। অসামীকে আটকের চেষ্ঠা চলছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads