• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
অনিয়মে ভরপুর লালমনিরহাট ঔষধ তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

অনিয়মে ভরপুর লালমনিরহাট ঔষধ তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০২০

বৈধভাবে ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন ড্রাগ লাইসেন্স। আর সেটি সংগ্রহ করতে হয় ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয় থেকে। নিয়ম অনুযায়ী ফার্মাসিস্ট পাশ করা যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষিত ব্যক্তিদের ঔষধ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়ার কথা থাকলেও লালমনিরহাটে অতিরিক্ত উৎকোচের বিনিময়ে একাধিক অবৈধ লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জেলা ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের অসাধু কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ঔষধ প্রশাসনের কাছ থেকে ড্রাগ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। তার জন্য প্রয়োজন ফার্মাসিষ্টের অঙ্গীকারপত্র ও ফার্মেসি কাউন্সিল থেকে ৬ মাস মেয়াদী কোর্সের সনদপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র। এছাড়া লাইসেন্সের জন্য সরকারি ফি হচ্ছে, পৌর এলাকার জন্য ২ হাজার ৫’শ ও ইউনিয়নগুলোতে ১ হাজার ৫’শ টাকা। তাছাড়া প্রতি দুই বছর পর পর নবায়ন করতে হয় লাইসেন্সটি। এর জন্য পৌর এলাকায় ১৮’শ এবং ইউনিয়নগুলোর ফার্মেসির ক্ষেত্রে ৭’শ টাকা ফি নির্ধারিত। কিন্তু এসব নিয়ম অনিয়মে পরিনত হয়েছে লালমনিরহাটের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের অসাধু কর্মচারীদের অর্থ বাণিজ্যের কারনে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শহর গ্রামের এমন অনেক দোকানের সন্ধান পাওয়া গেছে যারা টাকা দিয়ে লাইসেন্স নিয়েছেন। শহর গ্রামের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে একের পর এক ঔষধের দোকান। এসব দোকানে সার্বক্ষনিক একজন ফার্মাসিস্ট থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ দোকানেই ফার্মাসিস্ট নেই। ফার্মাসিস্ট থাকা না থাকা বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেন না এমনকি ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেন না ।

জেলা ঔষধ প্রশাসন কার্যালয়ের তথ্যমতে লালমনিরহাট জেলায় ১০৩৭ টি ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যু করা আছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে যে সব লাইসেন্স টাকার বিনিময়ে হয়েছে সেসব দোকানের মালিকেরা ফার্মাসিস্ট নয়। তারা ড্রাগ সুপারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে অন্য কারো নামে লাইসেন্স করে তা গোপনে ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে নিজের করে নিয়েছে। এভাবেই চলছে অধিকাংশ ঔষধের দোকানের ব্যবসা। অবৈধ লাইসেন্সধারীদের ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন লালমনিরহাটের সচেতন মহল।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ফার্মেসি পরিচালকগণ কোন ডিগ্রী না নিয়ে সকল রোগের চিকিৎসা প্রদান ও ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ঔষধ বিক্রি করায় প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। আর এসব কাজ ড্রাগ সুপারকে ম্যানেজ করেই হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ফার্মেসি মালিক বলেন, লাইসেন্স করতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয় ড্রাগ সুপারকে। নির্দিষ্ট ওই টাকা না দিলে নানা হয়রানির শিকার হতে হয় এবং প্রায় সময় বঞ্চিত হতে হয় লাইসেন্স প্রাপ্তি থেকে। তাই লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা করেও যাচ্ছেন অনেকে। তবে সকল রোগের চিকিৎসা নয়, নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদাান করছেন বলে তারা দাবি করেন এসব ফার্মাসি মালিকরা।

এদিকে এসব অনিয়মের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে. কোন কথা বলতে রাজি হননি লালমনিরহাট ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব) বি এম জাহিদ হায়দার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads