• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
চাঁদপুরে ১শ’ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত

চাঁদপুরে ১শ’ বেডের আইসোলেশন আইসোলেশন ইউনিট

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

করোনা ভাইরাসের শঙ্কা

চাঁদপুরে ১শ’ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাসের শঙ্কায় চাঁদপুর জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে ১শ’ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়াও অতিরিক্ত হিসেবে প্রত্যেক উপজেলায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বের  বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১০০৭জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, করোনা প্রতিরোধে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন, জরুরি মেডিকেল টীম, ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিকেল টীম, মনিটরিং সেল গঠন, প্রত্যেক উপজেলায় ৭-৮ বেডের আইসলোশেন ওয়ার্ড প্রস্তুত করনসহ চিকিৎসা সেবার জন্য সকল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমাদের মাঠ কর্মীদের মাধ্যমে প্রবাসীদের কাছে স্বাস্থ্য কার্ড আছে কিনা যাচাই-বাছাই করা এবং আগত প্রবাসীদের স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনের জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাসের আতংক দূর করে জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শ করে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ সম্পর্কে অবগত করা হচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলি হরি বলেন, গত ১০ দিনে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। তাদের সকলের ব্যপারে বিশেষ নজর রাখছে প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, মতলব উত্তর উপজেলায় ইতালি ফেরত দুদু মিয়া নামে এক ব্যাক্তিকে সন্দেহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে পরীক্ষা করা হয়। একদিন পরে ঢাকা থেকে পরীক্ষা রিপোর্ট আসার পরে জানাগেছে তার শরীরে করোনা ভাইরাস নেই। করোনা মোকাবেলায় আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত চাঁদপুরে বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত এসেছেন ১ হাজার ৭জন ব্যক্তি। আমরা তাদের তথ্য সংগ্রহ করে যার যার নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি। এই কাজে সহায়তা করছে জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ বিভাগ।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, জেলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এবং আক্রান্ত হয় এমন রোগীদের জন্য ১০০ শয্যার আলাদা বিশেষ ইউনিট খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ৩০টি, বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে ২১টি এবং ৭ উপজেলায় আরো সাতটি করে মোট ৪৯টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads