• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সিরাজদিখানে টেঁটা বল্লম নিয়ে হাউজিং প্রকল্পের মহড়া

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

 প্রশাসন নিরব

সিরাজদিখানে টেঁটা বল্লম নিয়ে হাউজিং প্রকল্পের মহড়া

  • সালাহউদ্দিন সালমান, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)
  • প্রকাশিত ১৭ মার্চ ২০২০

মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে হাউজিং প্রকল্প দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এখানকার সাধারণ জনগণ। বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চর খাসকান্দি এলাকায় গত রোববার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেঁটা বল্লমের খোঁজ পেয়ে সিরাজদিখান থানা ওসি তদন্ত আজিজুল হকের নেতৃত্বে এলাকায় তল্লাশি চালায় এতে কোন টেঁটা বল্লম উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানান সিরাজদিখান থানা ওসি(অপারেশন) আজিজুল হক।

 জানা যায়, গত কয়েক মাস যাবত বালুচর ইউনিয়ন খাসকান্দি চান্দের চর এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা হাউজিং প্রকল্প সুমনা হাউজিং ও দক্ষিণ গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) মধ্যে জায়গা দখল নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা চলছিলো। সে উত্তেজনা গড়িয়েছে টেঁটা বল্লমের মহড়ায়। পূর্বনির্ধারিত তারিখ মতো গত ৭ ফেব্রুয়ারী দুই পক্ষ টেঁটা নিয়ে মাঠে নামার খবর টের পেয়ে সিরাজদিখান থানা পুলিশ পদক্ষেপ নেয়। 

তবে গত ২১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ভোরে সুমনা হাউজিং প্রকল্পের শীর্ষস্থানীয় নেত্রীবৃন্দসহ বহিরাগত ৩ / ৪'শ মাস্তান ভাড়া করে প্রকাশ্যে দেশীয় টেঁটা বল্লম লাঠিসোঁটা নিয়ে দক্ষিণ গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) এর সমস্ত সাইনবোর্ড ভেঙে দেয় এবং দক্ষিণ গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) এর সাইনবোর্ডের জায়গায় সুমনা হাউজিং'র সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করে দক্ষিণ গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) এমডি মাসুদ।

তিনি আরো বলেন, আমরা সিরাজদিখান থানা পুলিশ কে খবর দিলেও কোন কাজ হয়নি। মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে থানা পুলিশ তাদের নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে তারা আমাদের সাইনবোর্ড ভেঙে তাদের সাইনবোর্ড স্থাপন করে। পুলিশের হস্তক্ষেপেই দক্ষিণ গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) সব সাইনবোর্ড ভেঙেছে। এমনকি সেখানে পুলিশ সশরীরে উপস্থিত থেকেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন বালুচর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য। এছাড়া দক্ষিণ গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) সাথে জড়িত মো.আবুল বলেন, পুলিশের সামনে আমাদের সাইনবোর্ড ভেঙে নিয়ে গেছে তবু তারা কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

এবিষয়ে সিরাজদিখান থানায় দক্ষিণ গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) সুমনা হাউজিং প্রকল্পের সাথে জড়িত কয়েকজনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো ১২০ জনের নামে মামলা করা হয়। সে মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেন সিরাজদিখান থানা পুলিশ। মমালার আইও, এস আই মামুন জানান, মামলার সবাই এখন জামিনে বাহিরে আছেন আমরা ইচ্ছে করলেও এখন আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারছিনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বিষয়টা আমি অবগত আছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করার দরকার আমি করছি এবং করবো।

এদিকে,সিরাজদিখান থানার ওসি (প্রশাসন) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, সংবাদ পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে মাঝরাতেই পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশের হস্তক্ষেপে সাইনবোর্ড ভাঙার ঘটনা একেবারে অসত্য।

ওসি আরো বলেন, এসপি সাহেব বলেছেন উভয় পক্ষকে একসঙ্গে বসানোর জন্য, কিন্তু তারা কেউ বসতে চাচ্ছেনা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads