লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় এক নাবালিকা মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী সত্য চন্দ্র রায়ের (৪৭) বিরুদ্ধে। এমনকি একাধিকবার ধর্ষণের পর একদিন ঘরে আটকিয়ে রাখে ওই নাবালিকাকে।
এদিকে এ ঘটনায় সত্য চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করলেও অন্য আসামীদের ধরতে গড়িমসি করছে পুলিশ। মামলাটি আপোষ-মিমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
গত ৫মার্চ এ ঘটনায় নাবালিকার মা বাদী হয়ে সত্য চন্দ্র রায়কে প্রধান আসামী করে আরও তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত ৩মার্চ উপজেলার নবীনগর গ্রামের মাস্টার পাড়ায় অবস্থিত ধর্ষক সত্য চন্দ্র রায়ের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার নবীনগর গ্রামের মাস্টার পাড়ার মৃত নরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে সত্য চন্দ্র রায় (৪৭), তার স্ত্রী শ্রী মতি সুশিলা রানী রায় (৪০), ভাই রাজ কুমার রায় (৪২) এবং ওই এলাকার কান্দুরা বর্মনের ছেলে সূবাস চন্দ্র রায় (৪৫)।
জানা গেছে, গত ২মার্চ দুপুরে ওই নাবালিকা সত্য চন্দ্র রায়ের বাড়ির সামনের রাস্তা ধরে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে সত্য চন্দ্র তাকে একা পেয়ে ফুসলিয়ে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তার মুখ চেপে ধরে তাকে ঘরের ভিতর আটকে রেখে একাধিকবার জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। ওই মেয়েকে না পেয়ে তার মা খোঁজা খুজি শুরু করে। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় সত্য চন্দ্রের বাড়ির থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
নাবালিকার মা জানান, আমার মেয়েকে সত্য চন্দ্র জোড় পূর্বক ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এমনকি মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে ওই পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল জানান, মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্যরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
