• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
ভূরুঙ্গামারীতে ভারতীয় গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

ভূরুঙ্গামারীতে ভারতীয় গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা

  • ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ মার্চ ২০২০

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। করোনার বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে ভারত থেকে করোনার ভাইরাসের জীবাণু বাংলাদেশে আসতে না পারে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।

তবে উপজেলার সীমান্তগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। প্রায় প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত গলিয়ে রাতের আঁধারে শতশত ভারতীয় গরু ভারত থেকে ভূরুঙ্গামারীতে ঢুকছে। এসব ভারতীয় গরু বিট খাটাল হয়ে পৌছে যাচ্ছে ভূরুঙ্গামারী হাটে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গরু ব্যবসায়ীরা ভূরুঙ্গামারীতে আসছেন গরু কিনতে। এতে গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে ভারত থেকে করোনার ভাইরাস ভূরুঙ্গামারীতে ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। অপর দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গরু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ভূরুঙ্গামারীতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্ষোভের সাথে জানান, প্রশাসন কি জানেনা পাচারকারীদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ভূরুঙ্গামারীতে আসতে পারে, কেন গরু আসা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না তা বোধগম্য নয়! নিশ্চয়ই কোনো স্বার্থের কারণে প্রশাসন গরু আসা বন্ধ করছেনা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গরু আসা একেবারেই বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সকলকে সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে। তবে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করার বিষয়ে কোনরূপ নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। নির্দেশনা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads