• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯
শ্রীপুরে আন্দোলন করে ছুটি আদায় করতে হল পোষাক শ্রমিকদের

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

করোনা আতঙ্ক

শ্রীপুরে আন্দোলন করে ছুটি আদায় করতে হল পোষাক শ্রমিকদের

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০২০

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কর্ম বিরতি দিয়ে আন্দোলন করার পর তোপের মুখে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ শনিবার পৌরশহরের ৪ নম্বার ওর্য়াডের ছাপিলা পাড়া এলাকায় লাক্সমা নিটওয়্যার কারখানায় ছুটির দাবিতে শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভের মুখে কারখানাটি আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে।

বিক্ষুব্ধ  শ্রমিকরা জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময় আশপাশের সব কারখানা বন্ধ রাখা হলেও আমাদের কারখানা খোলা রাখা হয়। এমন সময় কারখানায় যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ভয় নিয়েই নিরুপায় ম্রমিকরা কারখানার কাজে আসে। বারবার কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও বন্ধ না দেওয়ায় আজ শনিবার শ্রমিকরা আন্দোলনে যায়। আন্দোলন চলাকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছে।

কারখানার একাধিক শ্রমিক বলেন, আন্দোলন করে ছুটি নিতে হয়েছে। সবাই ছুটিতে নিরাপদে আছে। অথচ আমরা ছুটি পাইনি। শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে ছুটি আদায় করতে হয়েছে।নিরাপত্তার কথা ভাবলে আরো আগেই ছুটি দেওয়া উচিত ছিল।এতো এতো শ্রমিক এক সাথে কাজ করলে নিরাপত্তা থাকে না। আমরা এতো দিন নিরাপত্তার ঝুঁকির মধ্যে কাজ করেছি। জানিনা কত মানুষ এ রোগ ছড়িয়েছে।

এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

তবে তারা জানিয়েছেন, ২৭ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানা বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

প্রক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে নিরাপত্তার কথা ভেবে কারখানা বন্ধের আবেদন করে। কর্তৃপক্ষ সে আবেদন রাখেনি। পরে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কারকানায়  ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ এসে শ্রমিকদের শান্ত করে। পরে কারখানা বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শ্রীপুর মাস্টার বাড়ি আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে।

শ্রীপুর মডেল থানার এসআই আলাউদ্দিন  জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত আন্দোলন চলেছে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে আমরা ওই কারখানায় আসি। শ্রমিকদের সাথে কথা বলি। কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি।পরবর্তীতে ছুটির নোটিশ দেওয়া হয়। এর পর বিক্ষোভ থামে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads