• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
ফাকা কলাপাড়া হাসপাতাল, ক্লিনিক গুলোয় রোগীর ভীড়

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ফাকা কলাপাড়া হাসপাতাল, ক্লিনিক গুলোয় রোগীর ভীড়

ক্লিনিকের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে রাস্তার পাশে

  • মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
  • প্রকাশিত ৩০ মার্চ ২০২০

কলাপাড়ায় হাসপাতাল নির্মাণের পর এবারই প্রথম কলাপাড়া হাসপাতালের মূল গেট আটকে রাখা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে কোন রোগী আসলে মূল গেটের পকেট গেট খুলে তাদের ভিতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। সেখানে গেটে রাখা হ্যান্ড স্যানিটারি দিয়ে হাত ধুইয়ে তারপরই প্রবেশ করছে হাসপাতালে।

করোনা আতংকে হঠাৎ করে পটুয়াখালীর কলাপাড়া ৫০ শয্যা হাসপাতালে ইনডোর ও আউটডোরের রোগী কমে যাওয়ায় বহিরাগত ও ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের ভীড় কমাতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তবে স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা সচেতনায় এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও বিপরীত চিত্র ক্লিনিক গুলোতে। ক্লিনিকগুলোর বর্জ্য যত্রতত্র ফেলায় বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী।

গত শনিবার দিনভর হাসপাতাল ও ক্লিনিকপাড়া ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে রোগীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও তারা নির্দিষ্ট দুরত্ব রেখে সহকর্মীদের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাসপাতালে। আউট ডোর ও জরুরী বিভাগে রোগীর উপস্থিতি না থাকায় তাদেরও দেখা যায়নি নির্দিষ্ট আসনে। ডাক্তারদেরও অনেক রুম তালাবদ্ধ।

করোনা আতংকের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকার পরও বিকল্প পথে দুএকজন রোগী আসলেও ডাক্তারের দেখা পেতে তাদের কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগী ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ হাসপাতালে ভীড় না করতে পারে এজন্য মূলগেট আটকে রাখা হচ্ছে। রোগী আসলে গেট খুলে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, কলাপাড়ায় করোনা ঝুঁকিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে  থাকা বিদেশ ফেরত ৬৯ জনের কোয়ারেন্টাইন মেয়াদ শনিবার শেষ হয়েছে। বাকি ২৮ জনের মেয়াদ শেষ হবে ৫ এপ্রিল।

তবে বিপরীত চিত্র কলাপাড়ার ক্লিনিকগুলোতে। ডাক্তাররা এখানে নিয়মিত বসায় এসব ক্লিনিকে রোগীদের চিকিৎসা সেবা চলছে। এ কারণে এসব ক্লিনিকের ফেলা বর্জ্য এখন এলাকাবাসীর দূূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। ক্লিনিকে ব্যবহারের সিরিঞ্জ, স্যালাইন পাইপ, রক্তমাখা তুলা ব্যান্ডেজসহ অন্যান্য বর্জ্য ডাম্পিং না করে ফেলা হচ্ছে সরকারি স্থাপনার ভিতরে ও রাস্তার পাশে। এতে ওই সড়কে চলাচল করা মানুষ পড়েছে দূর্ভোগে। প্রচন্ড দূর্গন্ধে এসব ময়লা ফেলা সড়ক দিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

 

স্থানীয়দের দা্বি, ক্লিনিক পাড়ার এ বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট যায়গায় ফেলে পুড়িয়ে ফেলা উচিত। এতে রোগ ব্যাধি ছড়াতে পারবে না। দুটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত আমির হোসেন ও ঝর্ণা বলছেন, তারা তাদের বর্জ্য টাকা দিয়ে বাইরে ফেলছেন। এখন তারা কোথায় ফেলছে কিংবা পুড়িয়ে ফেলছে কিনা তা তারা জানেন না। তবে তারা নদীতেও এই বর্জ্য ফেলছেন বলে জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads