• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

করোনার অজুহাত

কালিয়াকৈরে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে

  • কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ মার্চ ২০২০

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সকল প্রাইভেট হাসপাতালগুলো কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাসের অজুহাতে সাধারণ রোগিদের চিকিৎসা সেবা না দিয়েই রোগি ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত কয়েকদিনে শত শত রোগি উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ক্লিনিকে গিয়ে তাদের রোগের বিষয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে ডাক্তার না আসার কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আজ মোঙ্গলবার খোঁজ খরর নিয়ে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে প্রতিরোধে উপজেলার সর্বত্র সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা সামাজিক সচেতনা বৃদ্ধির জন্য মাঠে টহল দেওয়া এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ ঔষধের দোকান ও প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানার করানোর ফলে অধিকাংশ হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রামক ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রতিদিন ওই সব হাসপাতালে ঢাকা থেকে বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসকরা আসতে এলাকার রোগিদের চিকিৎসা সেবা দিতে।

কিন্তু করোনা ভাইরাস এবং সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায় ও সাধারণ মানুষ নিজ ঘরে থাকার সরকার নির্দেশনায় হাসপাতালগুলোতে তেমন রোগি না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল জরুরি বিভাগে একজন লোক রেখেই সব বিভাগ বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই সব হাসপাতালে আসা রোগিরা চিকিৎসা সেবা না পেয়েই ফিরে য়েতে হচ্ছে। আবার অনেক রোগিকে ওই সব হাসপাতালের লোকজন অনুমান ভিত্তি রোগ মনে করে ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এতে রোগির স্বজনেরা রোগিকে ঢাকা নিয়ে যেতে নানা দুঃচিন্তা আর নানা ভোগান্তিতে পড়েন।

কালিয়াকৈর সাহেব বাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ মিয়া জানান, শনিবার আমার এক আতœীয় নারী রোগিকে সিজার করানোর জন্য প্রথমে ডাক্তার আজহার হালিমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কোন চিকিৎসক না থাকায় পরে শুভেচ্ছা ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানেও রোগি ভর্তি করা হয় না। তিনি কোন উপায় না পেয়ে রোগিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।

সফিপুর পূর্বপাড়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমার এক আত্মীয়ের আড়াই বছরের এক শিশুকে সফিপুর তানহা হাসপাতালে শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিয়ে যাই। সেখানের এক কমপাউন্ডার তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই ঢাকার শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে আমরা হতাশায় পড়ে যাই।

ডাক্তার আজহার হালিমা হাসপাতালের ম্যানেজার আব্দুল মান্নান জানান, সারাদেশেই করোনা সংক্রামক ছড়িয়ে পড়ার আতংকে ঢাকা থেকে কোন চিকিৎসকরা আসছে না। তাই রোগি ভর্তি করা হচ্ছে না।

তানহা হাসপাতালের ম্যানেজার মোঃ মোস্তাফা জানান, রোগি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা জানা নেই। তবে এরকম ঘটনা ঘটলে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার প্রবীর কুমার সরকার জানান, প্রত্যেক প্রাইভেট হাসপাতালে একজন করে দিনরাত আবাসিক ডাক্তার থাকার কথা রয়েছে। এই দুর্দিনে যদি কেউ আবাসিক ডাক্তার না রাখে প্রমাণ পেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads