• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কলাপাড়ার মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, অভিযুক্তকে জরিমানা ও বেত্রাঘাত

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কলাপাড়ার মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, অভিযুক্তকে জরিমানা ও বেত্রাঘাত

  • কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০১ এপ্রিল ২০২০

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর থানার নজিবপুর গ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে(১০) যৌন হয়রানীর অভিযোগে দুই সন্তানের জনক কালাম বেপারীকে(৩৫) ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও দশ ঘা বেত্রাঘাত করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য আবদুস সোবাহানের বাসায় সালিশের মাধ্যমে তাকে এই অপকর্মের শাস্তি দেয়া হয়। এ ঘটনায় এখন গোটা উপজেলায় তোলপাড় চলছে।

তবে এ সালিশের বিষয়টি জানেন না মহিপুর থানা পুলিশ। সালিশের ভিডিও গোটা এলাকায়  ভাইরাল হলে কালাম বেপারীকে আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকালে নজিবপুর গ্রামের প্রতিবেশী কালাম বেপারীর বাসায় টেলিভিশন দেখতে যায় ওই ছাত্রী। এ সময় বাসায় স্ত্রীর অনুপস্থিতে জোড়পূর্বক যৌন হয়রানি করে কালাম। স্কুল ছাত্রী এ ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানালে তারা ইউপি সদস্য আবদুস সোবাহানের কাছে নালিশ দেন। এ ঘটনার ফয়সালা দিতেই রাতের আঁধারে তার বাড়ির বৈঠকখানায় এ সালিশের আয়োজন করা হয়।

সালিশে ইউপি সদস্য আবদুস সোবাহান, ফুল গাজী, তোতা সরদার, কাসেম ফকির, ব্যবসায়ী সুমন, শাহালম মাঝি, কথিত সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

সালিশে কালামকে দোষী সাব্যস্ত করে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও দশ ঘা বেত্রাঘাত দেয়া হয়। কড়া নিরাপত্তায় সবার মোবাইল বন্ধ করতে বলে এ বেত্রাঘাত কার্যকর করা হয়। তবে জরিমানার টাকা ওই ছাত্রীর পরিবারকে না দিয়ে টাকা বাটোয়ারা নিয়ে কথিত সাংবাদিক সুমন ও সালিশদারদের মধ্যে বিরোধ হয়।

তবে মাদ্রাসা ছাত্রীর মা জানান, তার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। তিনি শাস্তি চান। সালিশের জরিমানা টাকা তিনা পাননি।

ইউপি সদস্য আবদুস সোবাহান জানান, স্থানীয়রা ৫০-৬০ জন লোক জড়ো করে তার বৈঠকখানায় যায়। কোন সালিশ বৈঠক হয়নি। বৈঠকখানায় উপস্থিত শাহআলম মাঝি ওই মেয়ের কথা শুনেন। বুঝতে পেরেছেন, কালাম মেয়েটিকে ঘরের মধ্যে ধাক্কা দিয়েছে। অন্য কিছু করেনি। তবে মেয়েটিকে ধাক্কা দেয়ায় উপস্থিত লোকজন কালামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। যা আগামী রবিবার পরিশোধ করার কথা।

এই করোনা আতঙ্কের মধ্যে বাড়িতে লোক জমায়েত ও শিশু নির্যাতনের মতো একটি ঘটনা সালিশ করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে ইউপি সদস্য বলেন, মানুষ বাড়িতে আসলে তার কী করার আছে। 

এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে কালামকে আটক করা হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads