• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
হাতীবান্ধায় পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

হাতীবান্ধায় পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ

  • হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ এপ্রিল ২০২০

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর করে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ সময় নারী ইউপি সদস্যসহ প্রায় তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আহতরা হলেন, বড়খাতা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য মাজেদা বেগম, গৃহবধু সাজেদা বেগম ও শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার।

জানাগেছে, উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবি গ্রামের সফিয়ার রহমান বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার সময় স্থানীয় মসজিদ কমিটির সাথে বিবাদ সৃস্টি হয়। পরে কাজ বন্ধ করে থানায় অভিযোগ করেন সফিয়ার। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পায় এসআই মাহফুজ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহফুজ বিষয়টি তদন্ত করতে গেলে স্থানীয়দের সাথে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা পুলিশের উপর হামলা করলে পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে বাড়ি ভাংচুর করে ও স্থানীয়দের মারধর করেন।

এ সময় চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশে তাদের রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।

আহত মাজেদা বেগম বলেন, পুলিশ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে আমার বাড়ি ভাংচুর করে। আমি বাধা দিলে আমাকে এলোপাথারি মারধর করেন।

আহত শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, আমি ভয় পেয়ে দরজা বন্ধ করে খাটের নিচে বসে ছিলাম। পুলিশ দরজা ভেঙ্গে আমাকে খাটের নিচ থেকে বের করে মারধর করেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাফুজ বলেন, আমরা কোন মারধর ও ভাংচুর করিনি। স্থানীয়রাই আমাদের উপর হামলা করেছে। আমি দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রতিপক্ষ আমাকে সেখান থেকে সারাতে বিভিন্ন যড়যন্ত্র করছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ওসি তদন্ত নজির হোসেন বলেন, স্থানীয়রা পুলিশের উপর হামলা করলে পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। বাড়ি ভাংচুর ও মারধর পুলিশ করে নাই। স্থানীয়রা নিজেরাই মারামারি করে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তবে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads