টেকনাফে তাবলীগ জামাত হতে আসা ৪২ জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। আজ বুধবার সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত নতুন পল্লান পাড়া, সাবরাং মন্ডল পাড়া, কুয়াইনছড়ি পাড়া, নয়া পাড়া, আলীর ডেইল এলাকায় গিয়ে জনসচেতনা কার্যক্রম ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়।
সম্প্রতি তাবলীগ জামাতের দুই জনের মৃত্যু ও বেশ কজন করোনায় আক্রান্তের ফলে নারায়ণগঞ্জ লক ডাউন করে প্রশাসন। এ খবর টেকনাফে চাউর হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন এলাকা হতে টেকনাফে ফিরে আসা তাবলীগ জামাতের লোকজন সম্পর্কে তথ্য আসতে থাকে প্রশাসন, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে । এসব তথ্যের ভিভিত্তে বুধবার সকাল হতে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), আবুল মনছুর, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল ও নৌ-বাহিনীর লে. তোকির আহমেদসহ প্রশাসনিক টিম ছুটে যায় এসব এলাকায়। এসব এলাকা পরিদর্শণ করে এ টিম তাবলীগ জামাত হতে আসা সাবরাং লেজির পাড়ার আব্দুল গফুর, নুরুল ইসলাম ও টেকনাফ নতুন পল্লান পাড়ার দুধু মিয়ার নমুন সংগ্রহ করেন এবং অন্যান্যদেরকে সচেতনামূলক প্রচার পত্র বিলি ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেন।
এ প্রসংগে সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, প্রশাসনিকভাবে সাবরাং এলাকায় আসা তাবলীগ জামাত হতে সদ্য এলাকায় আসা লোকজনকে হোম কোয়ানেন্টিন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সেই ভাবে পরিষদের পক্ষ হতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্যের মাধ্যমে গিয়ে আমরা ৪২ জন তাবলীগ জামাতের সদস্যকে পেয়েছি। তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এদের মধ্য হতে করোনা সন্দেহে তিন জনের নমুন সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে টেকনাফের মানুষ জন আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। এরা এখন আগের মত বাজাওে বা দোকানে আড্ডা দিচ্ছে না দাবী কওে নৌ বাহিনীর দায়িত্বরত লে. তোকির আহমেদ বলেন, টেকনাফবাসী আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে।
এরা আর ঘর হতে আগের মত বের হচ্ছে না।
টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল মনছুর বলেন, টেকনাফে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে প্রশাসন কাজ করছে। যারা হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে তারা কেউ তার ব্যত্যয় করেনি। যদি করে তবে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
অপর দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
