• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সবজিবাজারে গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে কেনাবেচা, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

সবজিবাজারে গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে কেনাবেচা, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

  • ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ এপ্রিল ২০২০

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী এলাকার ফুটব্রিজ এলাকার পৌর সবজিবাজার। শনিবার সকাল ১০ টা। বাজারে গিজগিজ করছে মানুষ। গা-ঘেঁষে চলছে বেচাকেনা। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও ক্রেতারা তা মানছেন না।

সেখানে কথা হয় সবজিবাজার সমিতির সদস্য দীপক কুমারের সঙ্গে। আপেক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কী করব? বাজারে অনেক লোক। সরকারি নির্দেশনা থাকলেও ক্রেতারা মানছেন না। আমরা বললেও শুনছেন না।

পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার সবচেয়ে বড় সবজি বাজার ফুটব্রিজ এলাকার পৌর সবজিবাজার। সপ্তাহের সাত দিন ধরেই ভোর ৬টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত সবজিবাজার বসে এখানে।

সবজি বাজারের ১০০ মিটার পশ্চিমে চৌধুরী মোড়। বেলা ১২টায় ওই মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমি ফলের দোকান ও মুদিখানা দোকানে যথেষ্ট ভিড়। ওই মোড় থেকে এক রিকশাতে উঠে গাদাগাদি করে যাত্রীরা যাচ্ছেন নিমতলা মোড় এলাকায়। বটতলী মোড়, রেলওয়ে ঘুমটি, রেলওয়ে স্টেশন, ননীগোপাল মোড় ও ফুলবাড়ী বাজার এলাকার বিভিন্ন দোকানের সামনে প্রচুর মানুষের দেখা মিলল। বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেকেই খোশগল্প করতে দেখা যায়। তাদের অনেকের মুখে মাস্ক নেই। মাছ বাজারে কেনাকাটা করছেন প্রচুর মানুষ। খাসির মাংসের বাজার, হাঁস-মুরগির বাজারেও কেনাকাটা জমে উঠেছে। গা-ঘেঁষাঘেষি করে মাছ, মাংস, হাঁস-মুরগি কিনছেন অনেকে।

হাটে হাঁস বিক্রি করতে আসা মহদিপুরের আবুল হোসেন, ‘বাবারে তোমরা তো আমাদেরকে হাটে আসতে বাঁধা দিচ্ছেন। কিন্তু কৃষকের দিকে তো দেখছেন না। সবাই দিনমজুর, শ্রমিক, শ্রমজীবী মানুষকেই চাল, ডাল, আলু, লবণ দিচ্ছে। হাঁস-মুরগি না বেচলে ক্ষেতের সার, তেল, লবণ, কিনবার টাকা পাবো কোথায়। ধান, পাট, ভুট্টার ক্ষেতের খাস নিড়ানি দেওয়ার টাকা পাবো কোথায়। ’

চারটি মুরগি বিক্রি করতে আসা গোপালপুর গ্রামের কৃষক সুবাস চন্দ্র বলেন, ‘আজ তিনজন কিষাণ বোরো ধান নিড়ানির কাজ করছে। হাতে টাকাপয়সা নেই। সকাল ১০ টায় চারটা মুরগি নিয়ে বাজারে এসেছেন। দুই ঘন্টা বসে আছেন। ভালো দামে বিক্রি দেওয়ার লোক পাচ্ছেন না। বারো শ টাকা দামের মুরগি ছয় থেকে সাত’শ টাকা বলছেন ক্রেতারা।

মাংস কিনতে আসা মধ্যপাড়া এলাকার সাব্বির হোসেন বলেন, ফ্রিজের মাছ, মাংস শেষ হয়ে গেছে। এ জন্য মুখে মাস্ক লাগিয়ে মোটরসাইকেলে বাজাতে মাছ, মাংস কিনতে এসেছেন।

ইউএনও আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব না মানলে কাের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads