• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
তাড়াশে করোনা এড়াতে বিশেষ নজরদারীতে ধান কাটছে কৃষি শ্রমিক

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

তাড়াশে করোনা এড়াতে বিশেষ নজরদারীতে ধান কাটছে কৃষি শ্রমিক

  • মনিরুল ইসলাম, (তাড়াশ) সিরাজগঞ্জ
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০২০

খাদ্যশষ্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলের তাড়াশের প্রধান আবাদ বোরো ধান। এ ধান উপজেলাতে আসছেন শত শত ধান কাটা কৃষি শ্রমিক। ইতোমধ্যে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধান কাটার জন্য শ্রমিকদের বিশেষভাবে পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অধিদপ্তর।

তাড়াশ কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এ বছর ২২ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান পরিস্থিতিতে ধান কাটার শ্রমিকদের আসা, থাকা খাওয়া নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ছিল। এরই প্রেক্ষিতে কৃষি শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় নানা উদ্যোগ নেয় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।।

এরই মধ্যে পাবনার বেড়া, সাঁথিয়া, সুজানগর, ফরিদপুর , নাকালিয়া বেড়া, চাটমোহর, রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর , বেলকুচিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে ধান কাটা শ্রমিক। তারা তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তারা অস্থায়ী আস্তানা গড়ছেন।

অপরদিকে করোনা কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এ বছর বোরো ধান কাটতে দূর-দূরন্ত থেকে আসা কৃষি শ্রমিকদের নিয়ে সর্তকতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুলন্নাহার লুনা জানান, তাড়াশের হাজার হাজার কৃষকের ধান কাটতে আসা দূর -দূরান্তের কৃষি শ্রমিকেরা রাস্তায় আসা যাওয়ায় ও এলাকায় অবস্থানের বিষয়ে কোন বাঁধার সন্মুখীন যাতে না হয় সেদিকে তারা নজর রাখছেন। তবে তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনাকালীন সময়ে সচেতনার সাথে কাজ করার জন্য পরামর্শ দিতে ওয়ার্ড পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষি শ্রমিকদের এলাকায় অবস্থানকালীন স্থানীয়দের থেকে তাদের আবাস দূরে রাখতেও বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads