মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সিংহের নন্দন গ্রামের বাসিন্দা হোসেন হাওলাদার অসুস্থ স্ত্রী নাসিমা বেগমকে নিয়ে ১১.৩০ টায় টঙ্গীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ফেরত আসেন। হাসপাতাল রোডে হোসেন হাওলাদার জানান, ডাক্তার বাইরে গেছে কখন আসবে কেউ বলতে পারে না তাই ফেরত যাচ্ছি।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন রোগী বসে আছে ডাক্তার নাই। চর্ম রোগের ডাক্তার কামরুল হাসান ও গাইনি ডাক্তার জেসমিন জাহান সকালে হাজির থাকলেও তার পর থেকে তাদের কোন হদিস নাই।
খোজ নিয়ে জানা গেলো, তারা আছে তবে হাসপাতালে বেসরকারী ক্লিনিকে রোগী দেখছেন। ডেলিভারি হবে টাকা পাবে তাই সরকারী হাসপাতালে বিনে পয়সার রোগী না দেখে তারা চলে গেছে পাশেই টঙ্গীবাড়ি ক্লিনিকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতাল রোডের ঔষধ বিক্রেতারা জানান প্রতিদিনই হাজিরা দিয়ে ডাক্তার কামরুল হাসান ও জেসমিন জাহান বেসরকারী হাসপাতালে চলে যান। পাঁচ শত টাকা ভিজিটে রোগী দেখেন। উপজেলা সদরে ৩টি বেসরকারী ক্লিনিক ও ৩টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলে সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার দিয়েই। সরকারী হাসপাতালে ডাক্তারদের দ্বারা সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে একই ডাক্তারের নিকট টাকা দিয়ে চিকিৎসা সেবা নেন এ উপজেলাবাসী।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: তাসলিমা ইসলাম জানান, আমি অতিকষ্টে করোনার ভয়াবহতার মধ্যে রাত দিন হাসপাতালেই কাটাই, হাসপাতালের বেডে ঘুমাই, কখন কে অসুস্থ হল চিন্তায় থাকি। আমি নিজেও কয়েক বার তাদেরকে ডেকে পাইনি।