গত কয়েকদিনে নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট কালবৈশাখী ঝড়ে বোরো ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে আর্থিকভাবে লোকসানে পড়বে বলে মনে করছেন অনেক কৃষকরা। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
বোরো মৌসুমের প্রায় শুরু থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে শ্রমিক সংকটে ধান ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তিত ছিলো নড়াইলের কৃষক। নতুন করে আবার যোগ হয়েছে গত কয়েক দিনের কালবৈশাখী ঝড়।
বাতাস আর শিলাবৃষ্টির ফলে বেশিরভাগ ধানই ঝড়ে পড়েছে। আর যা অবশিষ্ট আছে তার বেশিরভাগই চিটা হয়ে যাবার ভয়ে শংকিত তারা। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ধানের উৎপাদন আশানুরুপ হবেনা বলে মনে করছেন বোরো চাষীরা।
অনেকেই বলছেন, উৎপাদন খরচ বেশি ও যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষিবিভাগের সহায়তা না পাওয়ায় এ মৌসুমে কৃষকদের পড়তে হবে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে।
এই মৌসুমে যে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে তা বোরো ধান আবাদে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়ে বেশি ক্ষতি হলে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
নড়াইল জেলায় এ বছর মোট ৪৭ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।