নরসিংদীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে নূরে আলম খন্দকার (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে জেলার কোভিড হাসপাতালের আইসোলেশনে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে জেলায় নতুন করে আরো ৫১জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এই নিয়ে নরসিংদীতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬১৪ জন।
নিহত নূরে আলম খন্দকার শহরের বাসাইল এলাকার আবদুর রহমান খন্দকারের ছেলে। তিনি ভেলানগর বাসস্ট্যান্ডে পরিবহনের ব্যবসা করতেন।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার বিকালে নূরে আলম জ্বর, ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। রাতে তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বুধবার সকালে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। নিহতের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ফলাফল আসার পর বলা যাবে তিনি করোনা পজেটিভ নাকি নেগেটিভ ছিলেন। আর নিহতের মরদেহ করোনা প্রতিরোধ সেলের কুইক রেসপন্স টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নরসিংদী করোনা প্রতিরোধ সেলের কুইক রেসপন্স টিমের আহবায়ক মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া বলেন, করোনা উপসর্গে মারা যাওযার খবর পেয়ে আমাদের কুইক রেসপন্স টিম জেলা হাসপাতাল থেকে মরদেহ গ্রহণ করে।পরে দুপুরে আমরা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে,স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্বল্প সংখ্যক লোকজন নিয়ে জানাজা পড়ে নিহতের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করি।
এদিকে সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত সন্দেহে ১৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাতে সেসব নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে। এতে নতুন আরও ৫১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্ত ৫১ জনের মধ্যে ৩৭ জন নরসিংদী সদর উপজেলার , ৩ জন পলাশ উপজেলার , ২ জন মনোহরদী উপজেলার , ৫ জন শিবপুর উপজেলার ও ৪ জন বেলাব উপজেলার।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহীম টিটন বলেন, বর্তমানে নমুনা সংগ্রহের হার বাড়ার পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও ব্যাপক হারে বাড়ছে। নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্য ও সংস্পর্শে আসা লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতেও বাধ্য করা হচ্ছে।