• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে

  • কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জুন ২০২০

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০ জুন আইসিইউ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীন আবদুর রহমান।

তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিকে সবাইকে ধৈর্য্য এবং সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ২০১৬ সালে যে আইসিইউ উদ্বোধন হয়েছিল সেটা কার্যকর আছে সেখানে সাধারণ মুমূর্ষ রোগিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তবে সেটা করোনা রোগীদের নয়। তাই বর্তমানে করোনা রোগীদের জন্য আইএনএইচসিআরের অর্থায়নে ২০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ চালু হচ্ছে। এর মধ্যে ১০ শয্যা ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ যেখানে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন সুবিধা থাকবে আর বাকি ১০ শয্যায় সিসিইউ সুবিধা থাকবে।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে কাজের প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে; বাকি কাজও আশা করি যথা সময়ে শেষ হবে।

এদিকে করোনা সময় শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে কক্সবাজারের স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে। যখন অক্সিজেনের অভাবে বেশ কয়েকজন পরিচিত মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার বারের সাবেক সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগকে শতভাগ দোষারোপ করার কিছু নেই। তবে কিছু জিনিস আছে সেটা মানুষের মৌলিক অধিকার সেটা যখন মানুষ পায় না তখন সেটা নিয়ে প্রতিবাদ হয়। যেমন বর্তমানে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ১০ দিনে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে জেলার সংক্রামণের সংখ্যা বেশি হচ্ছে। আর হাসপাতালে কোনো মুমূর্ষ রোগি গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম রেফার করা হয়। তখন প্রশ্ন ওঠে এখানে কি ব্যবস্থা আছে।

এ ব্যাপারে আরেক আইনজীবি অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ বলেন,আমি নিজে পেটের ব্যাথা নিয়ে মে মাসের শুরু দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। নিজে দেখেছি সেখানে কি চিকিৎসা হচ্ছে। কোনো সিনিয়র ডাক্তার নাই শুধু মাত্র ইন্টার্ন চিকিৎসক দিয়েই্ চলছে চিকিৎসা সেবা। তাও নির্দিষ্ট সময় ছাড়া ডাক্তার পাওয়া যায় না।

এ ব্যপারে জেলা সদর হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন,ইতোমধ্যে হাসপাতালের ১২ জন ডাক্তার, ২৫ জন নার্স এবং অসংখ্য কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকে এখানে সেবা দিতে গিয়ে করোনা পজিটিভ হয়েছেন। আর করোনা পজিটিভ হলে তাদের ছুটি দিয়ে আইসোলেশনে পাঠাতে হয় তাই অনেকটা ডাক্তার সংকট আছে। আর যে আধুনিক আইসিইউ বসছে সেটার পূর্ণ সুবিধা পাবে স্থানীয় মানুষ। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। যথা সময়ে কাজ শেষ হলে ২০ জুন সেই প্রত্যাশিত আইসিইউ চালু করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads