নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া পূর্ব বাজারে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মিজানুর রহমান (৪০) নামে এক ধর্ষণ মামলার আসামি নিহত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ছাতাপাইয়া পূর্ব বাজার সোনাকান্দি গ্রামে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৩জুন ওই এলাকার কানা শহীদের আস্তানায় সংগঠিত কিশোরী (১৫) ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি। তাকে রোববার বিকালে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার রাত আড়াইটার দিকে থানার ওসি আবুদল বাতেন মৃধা ও (ওসি তদন্ত) ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুশিল ফোর্স তাকে নিয়ে সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে ছাতাপাইয়া পূর্ব বাজার সোনাকান্দি গ্রামে অভিযানে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মিজানের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে মিজানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছুড়লে মিজানের সহযোগী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে মিজানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধে রসুল মীর, পিয়াস সরকার ও পিপল নামে সেনবাগ থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদেরকে সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ২ রাউন্ড এলজির গুলি ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।
নিহত মিজানের বাড়ি পাশ্ববর্তী সোনাইমুডী উপজেলার নাওতলা গ্রামে।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান,গত ১৩ জুন ছাতারপাইয়ার কালা শহীদেও আস্তানায় সংগঠিত কিশোরী (১৪) ধর্ষণ মামলার আসামী মিজানকে রোববার বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার রাত আড়াইটার দিকে তাকে নিয়ে তিনি সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের ছাতারপাইয়া পূর্ব বাজারে পৌঁছলে মিজানের সহযোগীরা অতর্কিতে পুলিশের ওপর গুলি বর্ষণ করে মিজানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছুঁড়লে মিজানের সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ২ রাউন্ড গুলি,একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করে।