• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ঈশ্বরদীতে নেশার জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা,৭২ ঘন্টায় রহস্য উদঘাটন

ফাইল ছবি

সারা দেশ

ঈশ্বরদীতে নেশার জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা,৭২ ঘন্টায় রহস্য উদঘাটন

  • ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ জুন ২০২০

ঈশ্বরদীতে নেশার জন্য স্বামীর হাতে স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার রহস্য ৭২ ঘন্টায় উদঘাটন করল ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। শনিবার মধ্যরাতে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন মৃত শহিদুল ইসলাম বাবলু’র ছেলে মোঃ জানিক হোসেন বাবু (৩০) এর স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মিতু কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার মোল্লাকান্দি গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের মেয়ে। নিহত মিতু একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন। সে ঈশ্বরদী ইপিজেড এর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতো।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতের স্বামী মোঃ জানিক হোসেন বাবু একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি। সে নেশার টাকার জন্য প্রায়ই তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। নিহত মিতু আক্তার কিছুদিন আগেও তার স্বামীকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানা বিভিন্ন সময় বন্ধ থাকায় নিহত মিতুর রোজগারের পথ প্রায় বন্ধ ছিল। ঘটনার রাতে নেশার টাকা নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরিবারের সদস্যদের জানায় হার্ট অ্যাটাকের কারণে তার স্ত্রী মারা গেছেন। নিহতের স্বজনেরা ০১ জনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

পরে রোববার ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জামিলুর নিহতের লাশ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানায় নিয়ে আসে এবং পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

খুনের সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের স্বামী মোঃ জানিক হোসেন বাবু, শাশুড়ি হেনা বেগম (৫২) এবং ভাসুরের স্ত্রী মোছাঃ সুমা বেগম (৩২) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্বামী স্বীকার করে সে একাই তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

ঈশ্বরদী সার্কেল পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফিরোজ কবির বলেন, অভিযুক্ত হোসেন বাবু একজন দুষ্টু প্রকৃতির ও নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি। সে মিতু হত্যাকান্ডের কথা পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করেছে এবং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু, আসামি স্বীকার করেছে সে একাই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাই বাকি সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads