দাগনভূঞা উপজেলার বেকেরবাজারে ভোরে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন ওই ডাকাত দলের সদস্য দুলাল পেড়া (৪২) । শনিবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খানের আদালতে তিনি জবানবন্দী দেন।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে ডাকারির সময় পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে তাকে আটক করে।
ওইসময় ডাকাত দলের তিন সদস্য দুলাল মাতব্বর (৪৫), বাবুল মোল্লা (৪০) ও মো. বিদ্যুত (৩২) পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা যান। তারাও বেকেরবাজার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে দুলাল পেড়া আদালতকে জানান।
তিনি আদালতকে বলেন, ডাকারির ঘটনায় তারা ৮ জন ছিলেন। তিনজন মারা যান গেছেন। অন্যরা পালিয়ে গেছেন। তারা বেকেরবাজারের মতো বিভিন্ন এলাকায় এভাবে ডাকাতিকরে ট্রাকে মালামাল তুলে অন্যত্র বিক্রি করেন। ডাকাত দলের একজন ওই ট্রাকের চালক ছিলেন।
ডাকাতির সময় বাধা দেওয়া ও চিৎকার করে লোকজন জানানোর চেষ্টা করায় বাজারের নৈশপ্রহরী আব্দুল মান্নানকে হাত-পা বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে দুলাল আদালতকে জানান।
প্রসঙ্গত; গত বৃহস্পতিবার দাগনভূঞা উপজেলার বেকেরবাজারে একটি দোকানের তালা ভেঙে একজন নৈশপ্রহরীকে শ্বাসরোধ করে হত্য করে ডাকাতেরা। স্থানীয় লোকজন ও টহল পুলিশ ওই ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। গোলাগুলিতে তিন ডাকাত মারা যায় ও একজন গ্রেফতার হয়। এ ঘটনায় ডাকাতি ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়।