• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯
চট্টগ্রামে ২৭ বছরেও সংস্কার হয়নি নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান সড়ক, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

চট্টগ্রামে ২৭ বছরেও সংস্কার হয়নি নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান সড়ক, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০২০

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন বেহাল অবস্থা পড়ে আছে। এতে করে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের এমন বেহাল দশা হয়েছে যা চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন স্থানে ইট উপড়ে গিয়ে উচু নিচু হয়ে যাওয়াতে যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় রয়েছে গাউছিয়া হক ভান্ডারী ইসলামিক ইনস্টিটিউট দাখিল মাদ্রাসা যাতে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। এছাড়াও রয়েছে ৩টি মসজিদ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে কর্মরত প্রায় ৫ হাজার লোক এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন।

জানা যায়, ১২০০ মিটারের এই সড়কটি ১৯৯৩ সালে সংস্কার হওয়ার পর দীর্ঘ ২৭ বছরেও আজ পর্যন্ত আর কোন সংস্কার হয়নি। ২০১৮ সালে তৎকালিন স্থানীয় সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।এবং এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ে ডিও লেটার পাঠিয়েছিলেন।কিন্তু তিনি হঠাৎ মৃত্যুবরণ করায় নতুন সড়ক নির্মাণে আর অগ্রগতি হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলের এই সড়কটি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অযত্নে অবহেলায় সংস্কার বিহীন পড়ে আছে। সংস্কার না হওয়ায় জনসাধারণকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ চাকুরীজীবী ব্যবসায়ীরা এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। তাই সড়কটি দ্রুত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমদ সহ কতৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। গাউছিয়া হক ভান্ডারী ইসলামিক ইনস্টিটিউট এর পরিচালক মো. নুরুল আলম বলেন, আমরা পৌর এলাকার বাসিন্দা হয়েও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশায় দুর্ভোগে যাতায়াত করছি। কতৃপক্ষ একটু দৃষ্টি দিলে হাজারো মানুষ কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে।

এ বিষয়ে উপজেলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. ফারুক বলেন, তৎকালিন সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল থাকাকালিন সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো তিনি হঠাৎ মারা যাওয়াতে তা আর করা সম্ভব হয়নি। এরপর সকল কাজ সম্পন্ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিলো কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন হয়ে যাওয়াতে তাও বন্ধ হয়ে যায়। এখন মাননীয় সংসদের সাথে কথা বলে আবারও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পৌর মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু বলেন, এটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, মাননীয় সংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ জ সহযোগীতা পেলে আশা করছি খুব শীঘ্রই তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে জনসাধারণের কষ্ট দুর করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads