• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
চট্টগ্রাম বন্দর সংযোগ সড়কের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

চট্টগ্রাম বন্দর সংযোগ সড়কের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৮ আগস্ট ২০২০

চট্টগ্রাম বন্দর সংযোগ সড়কের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে চসিকের প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সড়কটি উন্নয়ন কাজ তরান্বিত করার জন্য সচেষ্ট হন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

চসিক প্রশাসক কিছুদিন আগে সড়কের পাশে অবস্থিত সকল স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান এলাকাবাসীকে। সড়কটির পাশে অবস্থিত হযরত মনির উল্লাহ শাহ ও হযরত মুনছুর আলী শাহ (র.) মাজার শরীফ এর পরিচালনা কমিটি চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের আহব্বানে সাড়া দিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবে নিজ দায়িত্বে মাজার দু’টির অতিরিক্ত অংশ সরিয়ে নেয়ার কাজ আজ থেকে শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মাজারের স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গিয়ে বলেন, যারা সড়কের দু’পাশের ড্রেন এবং ফুটপাত দখল করে মালামাল রেখেছেন তারা অতি সত্বর নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে হবে। সরিয়ে না নিলে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, মাজারের মূল রওজা শরীফ রেখে যে অংশ সড়কটিতে পরেছে তা নিজের উদ্যোগে অপসারণ করায় রাস্তাটি প্রসস্তকরণে আর কোনো বাধা রইল না। গত ১১ আগস্ট সাগরিকা মোড় হতে নয়া বাজার পর্যন্ত সমস্ত অবৈধ স্থাপনা, ফুটপাতের উপর বসানো দোকানপাট ও স্তুপকৃত মালামাল দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রশাসকব খোরশেদ আলম সুজন।

ওই সময়ে তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, রাস্তার দুইপাশে অবস্থিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যারা অবৈধভাবে চসিকের ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে জনচলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে তাদেরকে এসব অবৈধ স্থাপনা না সরালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা গুণতে হবে। এসময় ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রশাসককে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কেউ কেউ অবৈধ স্থাপনা সরালেও অনেক স্থাপনা এখনো সরানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে চসিক তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের এই সংযোগ সড়কটি সারা দেশের পণ্য পরিবহণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়কটি সংস্কারে দীর্ঘসূত্রীতার কারণে মানুষের যে ভোগান্তি হচ্ছে। এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার এবং প্রকৌশলীদের দ্রæতগতিতে কাজ করার নির্দেশনা দেন চসিক প্রশাসক। 

এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়বসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads