আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘোরিয়া) আসনের উপ-নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে আসনটিতে। দীর্ঘদিন পর প্রধান দুই দলের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় পুরোদমে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে ঈশ্বরদীতে। প্রধান দুই দলের মধ্যে তুমুল প্রতিযোগীতা হবে বলে মনে করছেন জনসাধারণ। গত ২৭ আগস্ট সরকারদলীয় আ.লীগের নৌকার প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হন ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস। আর জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। এর আগে ২৮ জন প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং বিএনপি থেকে চেয়েছিলেন দুইজন প্রার্থী। এই নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য আ. লীগ, বিএনপি ও জাপাসহ তিনজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে প্রার্থীরা তাদের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মননোনয়নপত্র জমা দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে। ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জমাকৃত মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে তিন দলের তিনজন প্রার্থীকেই বৈধভাবে মনোনীত করা হয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য।
গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটিকে নিজেদের করতে নেতা কর্মীদের মাঠে কাজ করার জন্য বলেছেন নৌকার প্রার্থী। অপর দিকে নির্বাচনে একপেশি ও একমুখী নির্বাচন না করে সকলের জন্য নির্বাচনের মাঠে সমান পরিবেশ প্রত্যাশা করেন বিএনপি ও জাপার প্রার্থীরা।
নির্বাচন নিয়ে নৌকার প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করছি। দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ আমাকে এই আসনে নৌকার মাঝি করেছেন। আমরা আমাদের দলীয় প্রধানকে পাবনা (ঈশ্বরদী-আটঘোরিয়া)-৪ আসনটি পুনরায় উপহার দিতে চাই। দলের সকল নেতাকর্মী আমার সাথে আছে। আমি সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ৩০ শে ডিসেম্বরের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে এই আসনটি বিএনপি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। সরকারসহ নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের একটাই চাওয়া অন্তত এই একটি আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন করে জনগণের ভোটের আস্থা ফিরিয়ে দিন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউল করিম বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকলে এই নির্বাচনে ভালো ফলাফল করব আমরা। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত নির্বাচনে লড়তে চাই। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ভোটরে মাধ্যমে বিজয়ী হতে চাই।
পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, নির্বাচনকে নিয়ে আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের সকল কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সকল নিয়ম অনুসরণ করে কাজ করছেন। নির্বাচনে সকলের জন্য আইন সমান থাকবে।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের ২ এপ্রিল সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য হয়।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘোরিয়া) উপজেলার দুটি পৌরসভা ১২টি ইউনিয়নের মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১২৯টি। মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ১শ ১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১,৯১,৬৯৭ জন আর নারী ভোটার ১,৮৯,৪১৫ জন।
