• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
কালিয়াকৈরে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

ফাইল ছবি

সারা দেশ

জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সঙ্কট

সরকারি স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কালিয়াকৈরবাসী

  • কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিচ্ছে মাত্র ৮ জন চিকিৎসক। জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সঙ্কটে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। এতে সরকারী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কালিয়াকৈর উপজেলার সাধারণ জনগণ।।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ১৯৬৪ সালে কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী এলাকায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১২ইং সালের ১১ ডিসেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। পাশাপাশি জনবল নিয়োগ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ না করায় কোনমতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি।

অপরদিকে ৩১ শয্যা হাসপাতালটির জন্য ২০ চিকিৎসক হাজির থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসক আছেন ৮ জন।

এর মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল অফিসার কালিয়াকৈর বাজার, সহকারী সার্জন চাপাইর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ ৪ জন চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে। ৬ জন চিকিৎসক প্রেষণে আছেন। তারা হলেন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. সঞ্চিতা ভৌমিক, চাবাগান উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমও ডা. গাজী মাহাবুব রহমান, এমও (ইউনানি) ডা. ইসরাত জাহান, সহকারী সার্জন ডা. তাসনুভা জাহান, সহকারী সার্জন ডা. শরিফুন নাহার, সহকারী সার্জন ডা. আ ন ম মাইনুল কুদ্দুস। এছাড়া জুনিয়র কনসালটেন্ট এ্যানেসঃ ডা. এম এম আব্দুল ওয়াদুদ ও এমও ডা. আবুল খায়ের সালাউদ্দিন ভুঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে অনুনোমদিত অনুপস্থিত আছেন। ওই দু'জনের নামে বিভাগীয় মামলা রয়েছে। বর্তমানে মাত্র ৮ চিকিৎসক দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে এ হাসপাতালের কার্যক্রম। এদের মধ্যেও ডে অফ, ছুটি, ট্রেনিং, রাতে ও দুপুরের ডিউটি থাকেন। এতে অল্প চিকিৎসকের পক্ষে এতে বেশি রোগী দেখা সম্ভব হয় না।

কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ৫০ শয্যা হলেও ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে হাসপাতালটি। এরমধ্যে ৪টি পদ শূন্য, ৬ জন প্রেষণে, ২ জন অনুনোমদিত অনুপস্থিত রয়েছে। তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে মাত্র ৮ চিকিৎসক দিয়ে ৫০ শয্যার হাসপাতাল চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর ঠিকমতো হাসপাতালে না আসায় আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে (আরএমও) শোকজ করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads