• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সাঁথিয়ায় সময় বাড়িয়েও পুরণ হলো না ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

সাঁথিয়ায় সময় বাড়িয়েও পুরণ হলো না ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা

  • সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

পাবনার সাঁথিয়ায় ১৫ দিন সময় বাড়িয়েও অর্জিত হয়নি ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা। সরকারের বেধে দেয়া দামের চেয়ে বাজার মুল্য বেশী হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাঁথিয়া উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর। অপরদিকে একই অবস্থার কথা জানালেন মিল মালিকেরা। তারা সরকারের বেধে দেয়া দামে চাল সরবরাহ করতে পারছেন না। এমনিতেই করোনা ও বন্যার কারনে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে মিল মালিকেরা। এর উপর লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ করতে চাচ্ছে না তারা। সরকারের পক্ষ থেকে যদি বাজার দর হিসাব করে মুল্য নির্ধারণ করতেন তবে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না বলে বলছেন সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকেরা।

উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৭শ৩৯ মেট্টিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৬৫০ জন কৃষককে ২৬ টাকা দরে ধান বিক্রির জন্য লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। অপরদিকে ৭১৩ মেট্টিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে ৩৩ জন মিল মালিক ৩৬ টাকা দরে চাল বিক্রির চুক্তি করেন। গত এপ্রিলে সংগ্রহ শুরু হয়ে ৩১আগষ্ট পর্যন্ত সময় নির্ধারণ ছিল। এ সময়ের মধ্যে আশানুরুপ ধান চাল সংগ্রহ না হওয়ায় সময়সীমা ১৫ দিন বাড়িয়ে আগামী ১৫সেপ্টম্বর পর্যন্ত করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। গেল মঙ্গলবার এই সময় শেষ হয়েছে। গত রোববার পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে ৩৭.২০০মে.টন। অপরদিকে চাল সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৩২৫ মেট্টিক টন।

ধান সরবরাহকারী কৃষকেরা জানান, হাট-বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে সরকার মুল্য নির্ধারণ করেছেন ১ হাজার ৪০ টাকা। তা ছাড়া আরও খরচ আছে। টাকা পেতেও ধরণা দিতে হয়। এর চাইতে কোন ঝামেলা ছাড়া হাট বাজারে বিক্রি করা সহজ ও দাম বেশী।

মিল মালিক শহীদ বলেন, বাজারে প্রতি মণ চাল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭ শ থেকে ১ হাজার ৮ পর্যন্ত। সরকারী মুল্য নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ৪ শ’ ৪০টাকা। এই দরে যদি আমরা চাল সরবরাহ করি তবে প্রতি কেজি চালে ৭/৮ টাকা করে লোকসান হয়। লোকসান দিয়ে তো আর চাল দিতে পারি না।

ধান ও বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, যাদের ধান চাল দেয়ার কথা ছিল তারা না দেয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি কৃষক ও মিল মালিকের বরাত দিয়ে বলেন, সরকারি দাম থেকে বাজার দর একটু বেশী হওয়ায় তারা সরবরাহ করতে পারছে না। অনেক চেষ্টা করে কিছুটা সংগ্রহের চেষ্টা করেছি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads