• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
মণিরামপুরে সড়কের পাশে গাছ মারতে নিষ্ঠুর পন্থা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

মণিরামপুরে সড়কের পাশে গাছ মারতে নিষ্ঠুর পন্থা

  • জাহাঙ্গীর আলম, মনিরামপুর (যশোর)
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

মণিরামপুরে কয়েকটি প্রধান সড়কের বাজার সংলগ্ন গাছের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত ঘর আড়াল পড়ে গেছে। এসব ঘর মালিকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও গাছ কাঁটতে ব্যর্থ হয়ে নিষ্ঠুর পথ অবলম্বন করছেন। জীবন্ত গাছ মারতে তারা পন্থা হিসাবে গাছের গোড়া খুঁড়ে পেট্রোল, ডিজেল, অতিমাত্রায় লবন, রাসায়নিক সার প্রয়োগ এমনকি এসিড পানি নিক্ষেপ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে গাছের ছাল তুলে ফেলা হচ্ছে যাতে গাছ দ্রুত শুকিয়ে মরে যায়।

বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, যশোর-সাতক্ষীরা, মণিরামপুর-নেহালপুর, মণিরামপুর-ঢাকুরিয়া, যশোর-পুলেরহাট-কুমিরাসহ অন্যন্যের সড়কে জেলা পরিষদের প্রায় ৫০ হাজার ফলজ, বনজ, ওষুধিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। যার প্রতিটির মূল্য ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত। কিন্তু সড়ক লাগোয়া বিভিন্ন বাজারগুলোতে থাকা বৃক্ষের জীবন লোভী মানুষের নিষ্ঠুর আচারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার খেদাপাড়া বাজারের দক্ষিণমাথায় গেলে সড়কের পাশে হিজবুল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে রয়েছে বড় আকৃতির রেইনট্রি (শিশু) গাছ। গাছটি শুকিয়ে মারা গেলেও গাছের গোড়ায় গেলে দেখা যায় গোড়ার চতুর্পাশ্বে খুঁচে কিছু একটা দেয়া হয়েছে। যা অনেক দিন ধরেই করা হচ্ছে বলে বোঝা গেলো। গাছের বাকল তুলে ফেলায় ছত্রাকের আক্রমণে গাছটি শুকিয়ে মারা গেছে।

এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, এক শ্রেণীর মানুষ বাজারের ঘরের সামনের গাছ মারতে দিনের পর দিন গোড়ায় ডিজেলসহ নানা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করছে।

এ ব্যাপারে দোকানী হিজবুল্লাহ বলেন, দোকানে ডিজেল আনার সময় ভ্যান থেকে ব্যারেলের মুখ খুলে গাছের গোড়ায় ঢেলে পড়ে, হয়ত বা তার কারনও মরে যেতে পারে।

জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এমএ মঞ্জুর হোসেন জানান, যশোরের বিভিন্ন সড়কের বাজার সংলগ্ন হাজার  হাজার গাছ দুর্বৃত্তরা এভাবে মেরে ফেলছে।

উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, এভাবে যদি কেউ গাছ নিধন করে, তাহলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, এতে গাছের খাদ্য সরবরাহ কমে যায়। এক পর্যায় ছত্রাকের আক্রমনে গাছ মারা যায়।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এসএমএ রফিকুন্নবী বলেন, এ বিষয়ে তারাও কিছু তথ্য জানতে পারছেন। অচিরেই দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads